কসবার আইন কলেজ (Kasba Law College) -এর ভয়াবহ গণধ’র্ষণে’র ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের তাজ্জব কাণ্ড! একই এলাকায় ফের এক তরুণীর অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে নানা ছলে প্রতারণা করে শারীরিক নির্যা’তন (Physical Assault) চালানো হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে। মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন, কেন বারবার কসবায় এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে!
উল্লেখ্য, এই অভিযোগকারিণী পেশায় একজন মডেল (Famous Model), যিনি ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন চলচ্চিত্র জগতে কাজ করার। কিন্তু সেই স্বপ্নই নাকি হয়ে উঠেছিল তাঁর দুঃস্বপ্ন! তাঁর কথায়, বড়পর্দায় সুযোগ করে দেওয়ার নাম করে একাধিকবার তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কখনও অডিশনের অজুহাতে, কখনও আবার কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে। অথচ আসল কাজের দেখা তিনি পাননি, বরং বারবার হয়েছেন শা’রীরিক নির্যা’তনের শিকার। তরুণীর দাবি অনুযায়ী, মডেলিংয়ে আসার পর থেকেই এই ঘটনা হচ্ছে।
২০২৩ সাল থেকে তিনি দুই ব্যক্তির দ্বারা লাগাতার নিপী’ড়িত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি কসবার একটি হোটেলেও তাঁকে ধ’র্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে— যাঁদের তিনি অভিযুক্ত করছেন, তাঁরা আদৌ চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগকারিণীর বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন টলিউডের (Tollywood) সঙ্গে যুক্ত প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে।
তাঁদের নামও উঠে এসেছে— রাজর্ষি দে, যিনি বাংলা ছবির পরিচালক হিসেবে পরিচিত এবং প্রযোজক এস এস উদ্দিন, যে রিকি নামে পরিচিত। প্রসঙ্গত, এরা বেশ কয়েকটি প্রশংসিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে তিলোত্তমার গল্প, হেডলাইট, হলুদ বসন্ত এবং একা অনিন্দ্য। তরুণীর দাবি, দুজনেই একসঙ্গে কাজ করেছেন এবং সেই পরিচয়ের জোরে তাঁকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। এ কারণে অনেকের অনুমান, এও কাস্টিং কাউচের এক জঘন্য উদাহরণ।
আরও পড়ুনঃ জীবনের শূন্যতাকে ভরিয়ে দিল কন্যার আগমন, অহনা-দীপঙ্করের মেয়ের নামকরণের আড়ালে লুকিয়ে আবেগঘন গল্প! সন্তানের মধ্যেই ফিরে পেলেন প্রিয় মানুষ, মেয়ের নাম প্রকাশ্যে এনে আবেগী মা! কী নাম রাখলেন একরত্তির?
তবে পুলিশ এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছচ্ছে না। তাদের বক্তব্য, অভিযুক্তরা সত্যিই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত কিনা বা তরুণীকে একেবারে শুরু থেকেই মিথ্যা বলে প্রতারিত করা হয়েছিল কিনা, সবকিছু তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, তাঁদের একাংশের দাবি— যতদিন না কঠোর শাস্তি হয়, ততদিন এমন অপরাধ থামানো সম্ভব নয়।