বাঙালি অভিনেত্রী রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়— তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ঝড়ঝঞ্ঝা গত বছর থেকেই ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচনার কেন্দ্রে। স্বামী অরিন্দম চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যকলহ নিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা। এমনকি ফেসবুক লাইভে নিজেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রিয়া। অভিযোগ, আইনি বিচ্ছেদ না হয়েই অরিন্দম নাকি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন জুনিয়র আর্টিস্ট রুমেলি গঙ্গোপাধ্যায়র সঙ্গে। সেই সময় দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান রিয়া— শুরু হয় এক নিঃসঙ্গ লড়াই।
কিন্তু জীবনের ছবিটা বদলে গেল এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাতেই। অরিন্দমের মায়ের মৃত্যু যেন হয়ে উঠল রিয়া-অরিন্দমের সম্পর্কের মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত। শাশুড়ির মৃত্যুর পর সমস্ত মান-অভিমান, তিক্ততার প্রাচীর ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে। রিয়া জানালেন, “শাশুড়ি মা মৃত্যুর কয়েক মাস আগেও বলেছিলেন, আমি যেন ফিরে আসি। কিন্তু তখন পরিস্থিতি এমন ছিল যে তা সম্ভব হয়নি। আজ ভাবলে মনে হয়, ভাগ্যের পরিহাস— ওঁর ইচ্ছেটাই শেষমেশ পূরণ হল, কিন্তু উনি দেখে যেতে পারলেন না।”
অরিন্দমকে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে মন গলেছিল রিয়ার। “মাকে হারিয়ে ও একদম ভেঙে পড়েছিল। সন্তানদের জন্য কাঁদছিল। তখনই বুঝেছিলাম, আমি যদি সন্তানদের ওর কাছে না পাঠাই, অন্যায় হবে। সেই থেকেই ধীরে ধীরে সম্পর্কটা জোড়া লাগতে শুরু করে,” বললেন অভিনেত্রী। এখন তাঁরা দু’জনেই একই ছাদের নিচে, আবার সংসারটাকে আগলে রাখার চেষ্টা করছেন।
রিয়া আরও বলেন, “শাশুড়ি মা-ই সংসারটা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। উনি চলে যাওয়ার পর যদি আমি হাল না ধরতাম, সব শেষ হয়ে যেত।” তবে অতীতের ছায়া এখনও পুরোপুরি কাটেনি। অভিযোগ, অরিন্দমের জীবনে আসা সেই তৃতীয় ব্যক্তি এখনও যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। “অরিন্দম ওকে ব্লক করেছে, তবুও নানা ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করছে,” জানালেন রিয়া।
আরও পড়ুনঃ অকালে হারানো আলো! ২০১৫ সালে ম’র্মান্তিক দু’র্ঘটনায় প্রয়াত হন পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়! চাকরি ছেড়ে অভিনয়কেই উৎসর্গ করেছিলেন জীবন, আজ এক দশক পর মৃ’ত্যুবার্ষিকীতে সেই অনবদ্য শিল্পীর স্মৃতিচারণ! জানেন, ব্যক্তিজীবনে মানুষটা কেমন ছিলেন?
সবশেষে রিয়ার মুখে মৃদু হাসি— “সবচেয়ে মজার ব্যাপার, ১৪ অক্টোবর কোর্টে আমাদের ডেট ছিল। কিন্তু সেই সময় আমরা একসঙ্গেই ছিলাম! আমি অরিন্দমকে বলেছিলাম, সত্যিই ভাগ্য কখন কী করে, কেউ জানে না। আমি তো সবসময়ই সংসারটা বাঁচাতে চেয়েছি। তাই এবার জীবনকে একটা দ্বিতীয় সুযোগ দিলাম।”






