“প্রয়োজনে কিডনি বিক্রি করব, তবু সত্যের বিরুদ্ধে মাথা নোয়াব না!” — স্বামীর পর’কীয়া ফাঁস করে বি’স্ফো’রক রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়

টেলিপর্দার পরিচিত মুখ রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়। অভিনয়ের পাশাপাশি বাস্তব জীবনেও তাঁকে লড়তে হচ্ছে এক বড় যুদ্ধ। কেরিয়ার, সংসার, সন্তান—সব সামলে বহুদিন ধরে নিজের জীবনের অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছে। ভালবাসার মানুষকে চোখের সামনে অন্য কারও সঙ্গে দেখে ফেলেছেন তিনি, তাও আবার হাতেনাতে। আর সেই ঘটনাই যেন সব কিছু ওলটপালট করে দিয়েছে তাঁর জীবনে।

গতবছর থেকেই স্বামী অরিন্দম চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল রিয়ার। তবে তিনি চেয়েছিলেন দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সবকিছু মিটমাট করতে। কিন্তু কিছুদিন আগে আচমকাই স্বামীর পরকীয়া ধরে ফেলেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, সেই মহিলার পরিচয়ও প্রকাশ্যে আনেন। এরপরেই শুরু হয় একের পর এক আইনি ঝামেলা। ওই মহিলার পক্ষ থেকে রিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে একাধিকবার লাইভে এসে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে দেখা যায় রিয়াকে।

একটা সময় স্বামীর সঙ্গে গৃহস্থালির টানাপোড়েন হলেও মুখে কুলুপ এঁটেই ছিলেন রিয়া। কিন্তু সত্যি চোখে পড়ার পর আর চুপ থাকেননি তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেন নিজের যন্ত্রণা। লাইভে এসে জানান, তাঁর মা-বাবাকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে, এমনকি তাঁকে চোর বলেও অপমান করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন রিয়া, তিনিই তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন।

মানহানির মামলার পরেই আরও এক ধাপ এগিয়ে যান রিয়া। সোমবার ফের লাইভে এসে শোনান সেই মহিলার স্বামীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথোপকথন। সেখানে স্পষ্ট, ওই ব্যক্তিও স্ত্রীর সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন, তবে পরিবার ভাঙার ভয়ে এতদিন চুপ ছিলেন। রিয়া বলেন, সম্পত্তি আর টাকার লোভেই এই সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও তিনি নিজে কখনও স্বামীর কাছ থেকে খোরপোষ চাননি। নিজের উপার্জনেই সন্তানদের বড় করার সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া গান এবার লীনার ধারাবাহিক ‘চিরসখা’তে! বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা! মঞ্চে ক্ষোভ প্রকাশের পর, সেই ধারাবাহিকেই শোনা যাবে মুখ্যমন্ত্রীর গান!

একটা সময় সব ভুলে সংসার টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন রিয়া। কিন্তু হঠাৎ করে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে যেভাবে সত্যি জানতে পেরেছেন, তাতে ভেঙে পড়েছেন তিনি। ওই মহিলার ঘন ঘন যাতায়াতের প্রমাণও আছে তাঁর কাছে। এখন তিনি স্থির করেছেন, সত্যকে সামনে আনবেনই। প্রয়োজনে কিডনি বিক্রি করেও লড়াই চালিয়ে যাবেন। তাঁর কথায়, ‘‘বাবা সরকারী চাকরি করেন না, আমিও অনিশ্চিত অভিনয় জীবনে আছি। তবু আমি হার মানব না।’’

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।