“দেব যদি সাহায্য করত, তাহলে এই ছবির বানাতে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হত না”- অকপটে উত্তর রুক্মিণীর!

বিনোদিনী দাসী ছিলেন বাংলার থিয়েটারের এক কিংবদন্তি চরিত্র। পাঁচ বছরের দীর্ঘ প্রস্তুতির পর এই ছবির সফলভাবে মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুক্মিণী মৈত্র। এটি তার অভিনয় জীবনে এক বড় পরিবর্তন আনবে বলে তিনি মনে করেন। এই চরিত্রটি রূপায়ণের দায়িত্ব নিয়ে রুক্মিণী বেশ উচ্ছ্বসিত।

রুক্মিণী মৈত্র তার কেরিয়ারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করেছেন নতুন ছবি ‘বিনোদিনী—একটি নটির উপখ্যান’ নিয়ে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আমি দেবের সাহায্য ছাড়াই নায়িকা হয়েছি। দেব যদি সাহায্য করত, তাহলে এই ছবির বানাতে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হত না।” রুক্মিণীর এই বক্তব্য ইঙ্গিত করে যে তিনি নিজের যোগ্যতায় ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নিয়েছেন।

রুক্মিণী জানিয়েছেন যে, তিনি প্রাথমিক পর্যায়ে নিজের কেরিয়ার নিয়ে কোনো শর্টকাট নিতে চাননি। “দেব আমার পাশে ছিল, কিন্তু আমার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে নিজের পথ তৈরি করতে হত,” বলেন তিনি। দেবের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত এবং পেশাদার সম্পর্ক নিয়ে তিনি জানান, দু’জনের আলাদা কাজের জায়গা রয়েছে এবং সেখানেই তাঁরা একে অপরকে সম্মান করেন।

‘বিনোদিনী—একটি নটির উপাখ্যান, সিনেমার মাধ্যমে রুক্মিণী এক নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। ছবিটি শুধু বিনোদিনীর জীবনই নয়, তৎকালীন সমাজব্যবস্থা ও থিয়েটারের প্রতি তার সংগ্রামের গল্প তুলে ধরবে। এই ছবির সাফল্য রুক্মিণীকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে এবং বাংলা সিনেমায় তাকে একজন শক্তিশালী অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ ‘আজ থেকে আমরা একসঙ্গে’, দুই থেকে তিন হল অয়ন্তিকা ও দুনি! পরিপূর্ণ এখন আরজে’র দুনিয়া

রুক্মিণী আরও বলেছেন যে এই চরিত্রে কাজ করা তার কাছে মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। চরিত্রটির জন্য থিয়েটার, নাচ, এবং সেই সময়ের সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে গভীর গবেষণা করতে হয়েছে। পাঁচ বছরের অপেক্ষা এবং কঠোর পরিশ্রম শেষে এই সিনেমা তার জন্য স্বপ্নপূরণের সমান। দর্শকদের ভালবাসাই তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।