“আমি পার্টনারের কথা শুনে চলি না, আমার কথাই শেষ কথা!”— সম্পর্ক নিয়ে অকপট রণিতা দাস! সৌপ্তিক অতীত এবার কার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী?

দীর্ঘ এক দশক পর আবার ছোটপর্দায় ফিরেছেন ‘ইষ্টি কুটুম’-এর প্রিয় ‘বাহা’। টেলিভিশনের সেই চেনা মুখ ‘রণিতা দাস’কে (Ranieeta Dash) এবার দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘ও মোর দরদিয়া’-তে। বিপরীতে রয়েছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ ও ফাহিম মির্জা। ধারাবাহিকটি মূলত জনপ্রিয় তেলুগু ধারাবাহিক ‘কার্তিকা দীপম ২’-এর সংস্করণ, তবে বাঙালি দর্শকদের উপযোগী করে গল্পের পরিবেশ ও আবেগ গেঁথে নেওয়া হয়েছে। নতুন ধারাবাহিকে ‘বাণী’ চরিত্রে অভিনয় করছেন রণিতা, যা তাঁর কাছে একেবারেই নতুন একটা অভিজ্ঞতা।

প্রথমেই যেটা বলতে হয়, ‘বাহা’ নামটা রণিতার জীবনের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে আজও অনেকেই তাঁকে সেই নামেই ডাকেন। ‘ইষ্টি কুটুম’ তাঁকে যে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল, তা আজও অটুট। তবে অনেকেই জানেন না, মাঝপথে অসুস্থতার কারণেই তাঁকে ধারাবাহিক থেকে সরে যেতে হয়েছিল। শিরদাঁড়ার যন্ত্রণায় দাঁড়িয়ে শ্যুটিং করাই অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল তখন। সেই কঠিন সময়ে নিজের শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য ফেরাতে প্রায় এক দশক সময় লেগেছে তাঁর।

এই দীর্ঘ বিরতিতে রণিতা অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও শিল্পীসত্ত্বা থেকে নয়। তিনি প্রযোজনা সংস্থা খুলে কাজ শুরু করেন, পাশাপাশি সৌপ্তিক চক্রবর্তীও যৌথভাবে কাজ করছেন একই প্রযোজনায়। যদিও তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক আজ অতীত, তবুও পেশাগতভাবে দু’জনেই আজও পাশাপাশি কাজ করছেন। রণিতার কথায়, “এখন আপাতত ধারাবাহিক নিয়েই সময়টা বেশি কাটছে, তাই সৌপ্তিক বলছে। কিন্তু আমি প্রযোজনা সংস্থার কাজ নিয়েও সমানভাবেই মনোযোগী।

সময় দিতে পারছিনা বলে যে পার্টনারের কথাতেই সব হবে এমনটা নয়। আমি পার্টনারের কথা মেনে চলি না, আমার কথাই শেষ কথা!” অভিনেত্রীর কথায় স্পষ্ট, এই প্রত্যাবর্তন কেবল পর্দায় ফেরা নয়— এটি তাঁর কাছে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার এক নতুন সূচনা। তিনি বললেন, “অনেকে ভয় দেখিয়েছিল যে ইন্ডাস্ট্রি নাকি বদলে গিয়েছে, ফিরে এসে দেখলাম না সব একই আছে! বরং এখন ১৪ ঘণ্টার সিডিউল বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এটা খুব প্রয়োজনীয় ছিল শিল্পীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য।

আরও পড়ুনঃ বাঙালির মুকুটে নতুন পালক! টলিউড বলিউড পেরিয়ে এবার সোজা হলিউডে সৃজিত মুখোপাধ্যায়! এবার হলিউডের ছবি পরিচালনা করবেন বাঙালি পরিচালক

আমি মূলত ধারাবাহিকে ফিরেছি চরিত্রের খিদে মেটাতে। এই ধারাবাহিকের যেটা গল্প, একটি মেয়ে যে সমস্ত জায়গা থেকে বিতাড়িত এবং লাঞ্ছনার শিকার। সেই আহত বাঘিনীর উঠে দাঁড়ানোর ব্যাপারটা আমার খুব ছুঁয়ে গেছে। আমি বুঝে উঠতে পারিনি চরিত্রটাকে এখনো ঠিকভাবে। তার আগেই যেভাবে দর্শক আমাকে আপন করে নিয়েছেন এই নতুন চরিত্রে সত্যিই ভালো লাগছে!” ১৮ বছরের দীর্ঘ শিল্পীজীবনে রণিতা বারবার নিজের জায়গা বদলেছেন, কিন্তু কখনও অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা হারাননি।