“একমাত্র গান দিয়েই স’ন্ত্রাস’বাদ থামানো সম্ভব!” বক্তা রূপঙ্কর! ‘পহেলগাঁওতে যদি সেদিন আপনার প্যান্ট খুলে কেউ চেক করত, তখন ঠিক কোন গানটা শোনাতেন?’ ‘ওনাকে এক্ষুনি গিটার সমেত বর্ডারে পাঠানো হোক!’ কটাক্ষে ধুয়ে দিল নেটপাড়া

“কে কে! হু ইজ কে কে?”— এই বিতর্কিত মন্তব্যটি কে করেছিলেন নিশ্চয়ই মনে আছে আপনাদের? কে বলুন তো? হ্যাঁ! ঠিকই ধরেছেন সঙ্গীতশিল্পী ‘রূপঙ্কর বাগচী’ (Rupankar Bagchi) মহাশয়। ২০২২ সালে যখন সারা ভারতবর্ষ একজন প্রিয় সঙ্গীত শিল্পীর অকাল প্রয়াণে শোকাহত, তখন লাইভে এসে উনি, “একজন মারা গেছে, তাঁকে নিয়ে এতো মাতামাতি করার কি আছে?” এইরূপ বিতর্কিত মন্তব্যটি করে বসেন। মানুষ এই অপমানকে মেনে নিয়ে পারেননি, ফলে প্রবল জনরোষের মুখে পড়েন তিনি।

এবার যেন সেই একই ভুল করে বসলেন জেনেবুঝেই। না ভুল নয়, বরং এটা দেশদ্রোহীতাকে সমর্থন মনে করছেন অনেকে! কিন্তু কি এমন বললেন রূপঙ্কর? সম্প্রতি পহেলগাঁওতে পাকিস্তানের জ’ঙ্গি সংগঠন নিরীহ হিন্দুদের হ’ত্যা করে, আর এর প্রতিবাদে ভারত ‘অপরেশন সিঁদুর’ সার্জিকাল স্ট্রাইক করে পাকের জ’ঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে। এরপর কার্যত দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনও অব্যাহত। এরই মাঝে এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের রূপঙ্কর বলেন, “প্রতিশোধ কখনও উত্তর হতে পারে না!

Bengali singer

আমি এটাও বিশ্বাস করি যে শুধুমাত্র সঙ্গীতই স’ন্ত্রা’সবা’দকে রুখতে পারে।” এখানেই উঠছে প্রশ্ন, যেখানে দেশের এতোজন হিন্দুরা বিনা কারণে প্রাণ হারালেন শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে একটা অন্যদেশের স’ন্ত্রাস’বাদী’দের হতে, সেই মৃত ব্যক্তিদের ন্যায় বিচারের জন্য হওয়া স্ট্রাইককে তিনি কি করে প্রতিশোধ বলতে পারেন? কি করেই বা বলেন এমন ভিত্তিহীন কথা? সমাজ মাধ্যম থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরা, সকলেই ফেটে পড়ছেন ক্ষোভে। সরাসরি অনেকেই দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দিচ্ছেন তাঁকে।

অনেকেই বলেছেন, “আপনি নিজেই একজন সন্ত্রা’সবাদী, মুখ খুললেই যু’দ্ধ বাঁধে।” এখানেই শেষ নয়, আরও বলেছেন একজন, “কানের সামনে যখন গান (বন্দু’ক) ধরবে ওরা, দেখব কেমন গান গেয়ে যু’দ্ধ থামানোর ক্ষমতা হয়!” আরও একজন কটাক্ষ করেছেন, “একবার বলুন হু ইজ পাকিস্তান, যদি সেবারের মতন লেগে যায় তো পরের বছর আপনার ভারতরত্ন পাকা!” বেশিরভাগ মানুষেরা কটাক্ষ করলেও চরম হাসাহাসিও শুরু হয়েছে একাংশের মধ্যে, সমাজ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে ট্রোলের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ “২১ বছরেই দামি গাড়ি কিনেছে বোনু, তাই হিংসে করছে সবাই!” “ম’রণ নেই, সভ্যতা না জানা এই ন্যাকাদের হিংসে করবে”, নেটিজেনদের কটাক্ষ করতে গিয়ে নিজেই কটাক্ষের শিকার অলকানন্দা

ট্রোলের চলে একজন বলেছেন, “এনাকে বর্ডারে পাঠিয়ে দিন, তারপর ওখানে গিয়ে গভীরে যাও গেয়ে দিলেই সব সন্ত্রাসবাদ ধুয়ে মুছে সাফ!” আবার অন্যজনের দাবি, “পহেলগাঁওতে যদি সেদিন আপনার প্যান্ট খুলে কেউ কিছু চেক করত, তখন ঠিক কোন গানটা শোনাতেন?” এমনকি অভিনেতা মৈনাক বন্দোপাধ্যায় পর্যন্ত হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন। অভিনেত্রী সায়ন্তনী মল্লিক দাবি করেছেন, “ওনাকে এক্ষুনি গিটার সমেত লকে (নিয়ন্ত্রণ রেখায়) পাঠানো হোক, মহাত্মা ব্যক্তি তো!” আপনাদের কি মতামত, রূপঙ্করের এই উক্তিকে ঘিরে?