রূপঙ্কর-কেকে বিতর্ক এখনও মানুষ ভুলতে পারেনি। আর তার প্রভাব ধীরে ধীরে পড়ছে গায়কের ব্যক্তিগত এবং কাজের জীবনের উপর। একে একে কাজ হারাচ্ছেন তিনি। প্রথমে একটি প্রথম সারির কেক প্রস্তুতকারক সংস্থার জিঙ্গেল থেকে তারপর আবার অন্যান্য গানের প্রস্তাব থেকে চ্যুত হচ্ছেন রূপঙ্কর। বলা যায় কাজের দিক থেকে চরম অনিশ্চয়তায় ডুবে রয়েছেন রূপঙ্কর বাগচী।
আসলে কেকেকে নিয়ে যে মন্তব্য তিনি করেছিলেন তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের রোষানলে রয়েছেন রূপঙ্কর। নেটিজেনদের দাবি মেনেই একের পর এক সংস্থা বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে রূপঙ্করের সঙ্গে কাজের চুক্তি পাছে সেই সংস্থাগুলি আবার সাধারণ মানুষের আক্রোশের মুখে না পড়ে।
সারা বছর ছবির গান, মঞ্চের গান নিয়ে ব্যস্ত থাকেন শিল্পীরা। কিন্তু এখন রূপঙ্কর বাগচীর অবস্থা ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। তাঁকে নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজকরা ইতিবাচক কিছু ভাবতে পারছে না। তারা নিজেরাই দাবি করছে যে কলকাতায় এত দিন রূপঙ্করের অনুষ্ঠানের চাহিদা ছিল খুবই বেশি। কিন্তু এখন এক লহমায় সেটা কমে গেল।
শুধু তাই নয় সিনেমার গানের ক্ষেত্রে অনুপম করে নেওয়া নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত শিল্পীরা। ‘প্রথম বারে প্রথম দেখা’ ছবিতে গান গাওয়ার কথা ছিল রূপঙ্করের। গানের রেকর্ডিংয়ের কাজও নাকি শেষ হয়ে গেছিল।
তবে সেই কাজ হাতছাড়া হলো গায়কের। কেকে বিতর্কের পর সেই চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হলো। সম্পাদনার টেবিল থেকেই বাদ দিয়ে দেওয়া হল এই গায়ককে। আর রূপঙ্করের জায়গায় নেওয়া হল অরিজিৎ পালকে।
ছবির পরিচালক আকাশ মালাকার এই বিষয়ে অবশ্য রূপঙ্করের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেননি। আগে রেকর্ড করানো হয়েছিল রূপঙ্করকে দিয়ে গানটি। পরে এডিট করার সময় তাদের মনে হয় নায়কের সঙ্গে রূপঙ্করের গলায় গানটি ঠিক মানাচ্ছে না। কিশোর-কিশোরীদের গল্পে তাঁর গলা বয়স্ক মনে হচ্ছে।