সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া এখন একদিকে যেমন মানুষের মতামত জানানোর বড় মাধ্যম, অন্যদিকে তীব্র সমালোচনা ও আক্রমণের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।সাম্প্রতিক সময়ে এমনই এক ঝড় বয়ে গিয়েছে অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়ের জীবনে। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি তাঁকে ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র কটাক্ষ। শুধু অভিনেত্রী নন, এই আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে তার পরিবারকেও।
বিচ্ছেদের পর থেকেই একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে অভিনেত্রীকে । কখনও তাঁর কাজ নিয়ে, কখনও আবার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। শুধু অভিনেত্রী নন, তাঁর মাকেও বারবার আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে।কিছুদিন আগে এক ভিডিও র মাধ্যমে সুস্মিতা জানান, তাঁকে এবং তাঁর মাকে কথার মাধ্যমে ধর্ষণের মতো লাঞ্ছনা সহ্য করতে হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই বক্তব্য ঘিরে নেটদুনিয়ায় আরও বড় চর্চা শুরু হয়।
এই প্রসঙ্গে শুধু নেটিজেনরাই নন, কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ।তবে এক সংবাদমাধ্যমের হেডলাইন নিয়ে আপত্তি জানান প্রাক্তন স্বামী ও সাংবাদিক সব্যসাচী চক্রবর্তী। ফেসবুকে সেই শিরোনাম শেয়ার করে তিনি লেখেন, এরকমভাবে কাউকে আক্রমণ করা অত্যন্ত অমানবিক। তাঁর মতে, সোশ্যাল মিডিয়ার মানসিক ধর্ষ’ণ আর বাস্তব ধর্ষ’ণের মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি। কেউ যদি এই পার্থক্য না বোঝে, তবে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ।
সব্যসাচী সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, “কাক কখনও কাকের মাংস খায় না। কিন্তু আমাদের সাংবাদিকদের মধ্যে এই বোধ নেই।” তিনি জানান, সুস্মিতার মায়ের লড়াই তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। এই বয়সে তাঁর প্রাপ্য অসম্মান নয়। তাঁর নিজের সঙ্গে সম্পর্ক যাই থাকুক, একজন নারী হিসেবে এভাবে আক্রমণ অত্যন্ত লজ্জাজনক। এমনকি তিনি স্বীকার করেন, যদি সুস্মিতা নিজেই এমন কিছু বলে থাকেন যাতে বিতর্কিত হেডলাইন তৈরি করা সম্ভব হয়, তবুও একজন পুরুষ হিসেবে তাঁর লজ্জিত হওয়া উচিত।
শেষে সব্যসাচী নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান, তিনি একজন সাংবাদিক হিসেবে ক্ষমাপ্রার্থী, আবার একইসঙ্গে একজন ব্যর্থ স্বামী হিসেবেও দুঃখ প্রকাশ করছেন। তাঁর কথায়, ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল শব্দকে ঠাট্টার পর্যায়ে নামিয়ে আনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। তিনি নেটিজেনদের অনুরোধ করেন, সুস্মিতাকে নিয়ে ট্রোলিং বন্ধ করতে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সব্যসাচীর বার্তা— “একটু পড়াশোনা করো, আর সংবেদনশীল হও।”
আরও পড়ুনঃ বাধ্য হয়ে চন্দ্রর সঙ্গে সংসার, চোখের জলেই অতীত ফাঁস করল সোহিনী! অন্ধ বিশ্বাসের শাস্তি, চন্দ্রর আসল রূপ দেখে ভেঙে পড়লেন মা! বুবলাইয়ের বিশ্বাসে ভাঙন, নিজের বাবার অপরাধ শুনে মানতে পারছে না সেও! ‘চিরসখা’র আজকে কমলিনী অবশেষে মুক্ত!
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।