বর্তমানে সমাজ মাধ্যমের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ ‘সায়ক চক্রবর্তী’ (Sayak Chakraborty)। একটা সময় ছোটপর্দায় নিয়মিত কাজ করেছেন। তারপর দীর্ঘদিন আর কোনও প্রস্তাব পাননি তিনি। তবে এই সময়টা সমাজ মাধ্যমে নিজের পরিচিতি গড়ে তোলার সুযোগ হিসাবেই কাজে লাগিয়েছেন সায়ক। চলতি বছরের শুরু থেকেই ছোটপর্দায় একের পর এক কাজ আসছে তাঁর হাতে। বর্তমানে সয়ককে দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার ‘রাজরাজেশ্বরী রানী ভবানী’ ধারাবাহিকে। একই সঙ্গে জি বাংলার ‘তুই আমার হিরো’ ধারাবাহিকের অভিনয় করছেন তিনি।
পাল্লা দিয়ে সায়ক চালিয়ে যাচ্ছে সমাজ মাধ্যমে ‘ডেইলি ভ্লগিং’। বিভিন্ন সময়ে সায়ক নিজেই বলেছেন, যতই নতুন কাজ পান না কেন, ভ্লগিং ছাড়তে পারবেন না। কারণ দীর্ঘদিন যখন হাতে কোনও কাজ ছিল না বলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, তখন এই ভ্লগিং তাঁকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। তবে, অভিনেতা হিসেবে অভিনয় সুযোগ না পাওয়ায় আর্থিক দিক থেকেও কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এই বছর সেই চিন্তা আর নেই বলেই সায়ক জানিয়েছেন।
সম্প্রতি বাইপাসের ধারে একটি আবাসনে জমি কিনেছেন তিনি। সায়কের এর কথায়, “নিজের জমানো টাকা দিয়ে মায়ের জন্য একটা স্থায়ী মাথা গোজার ঠাই করে দেব, এটাই আমার স্বপ্ন ছিল আর এতদিনে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।” সায়ক আরও বলেছেন, এই বছরের পূজো তাদের জন্য একটু আলাদা। প্রতিবার যেমন মা আর দাদার সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যান, সেটা এবারও হবে। তবে সয়কের কথায়, “এবার মনে হয় আমার মুখ দেখেই ভেতরে ঢুকিয়ে দেবে। আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না।
যখন এমন ট্রিটমেন্ট পাই ভিআইপিদের মত, মনে হয় কিছুটা হলেও নিজের জায়গা তৈরি করতে পেরেছি।” ঠাকুর দেখা বাদে বাকি সময়টা তিনি নতুন আবাসনেই কাটাতে চান বলে জানিয়েছেন। ছোটবেলার কষ্টের দিনগুলো আজও ভোলেননি সায়ক। নতুন আবাসনের পাশেই তাঁর মাসির বাড়ি। ছোট থেকেই সেখানে যান তিনি, কিন্তু পুজোর দিনগুলোতে যেন একটা আলাদাই আকর্ষণ ছিল। সায়কের কথায়, “যে আবাসনে জমি কিনেছি ওখানেই মাসিও থাকে। ওই আবাসনের দুর্গাপুজো অনেক পুরনো।
আরও পড়ুনঃ ঝিলিক-আঁখি ‘দুই শালিক’-এর বন্ধুত্বে ভাঙন! পার্টিতে মুখোমুখি হয়েও কথা বললেন না, একে অপরকে দেখেও এড়িয়ে গেলেন নন্দিনী-তিতিক্ষা! একসময় পর্দা থেকে বাস্তবেও দুই বোন, হঠাৎ কী কারণে এমন দূরত্ব?
ছোট থেকেই প্রতিবছর নবমীতে মাসি আমাদের নেমন্তন্ন করত। কারণ ওই দিন ওখানে মটন খাওয়ানো হয়। আমরা যাতে একটা দিন পেট ভরে ভালো খাবার দাবার খেতে পারি সেই জন্যই আমাদের ডাকত। এবার আমরা নিজেদের জমির অধিকারই মটন খাবে!” ভালো মন্দ মিশিয়ে এই বছরটা সায়কের জন্য বিশেষ। যদিও কিছুদিন আগেই বন্ধু তথা বৌদি সুস্মিতার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে দাদার, এই নিয়ে মায়ের মন খারাপ। তবুও নতুন করে সবটা শুরু করার চেষ্টা করছেন তিনি এবং পরিবার।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।