“কী যে দুর্ব্যবহার করেছি! সোনালীর শেষ ইচ্ছাও রাখতে পারিনি, কোনও কথাও শুনিনি”— স্ত্রী প্রয়াণের পর আক্ষেপ, হতাশা গ্রাস করেছে শংকর চক্রবর্তীকে

টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা শংকর চক্রবর্তীর জীবনে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও আজ ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক গভীর শূন্যতার মধ্যে। দীর্ঘদিনের সঙ্গিনী সোনালী চক্রবর্তীর প্রয়াণ তাঁর জীবনে এমন এক শূন্যতা তৈরি করেছে, যা কথায় প্রকাশ করা দায়। পর্দার বাইরে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের আবেগঘন কাহিনী এখন তিনি নিজের মুখেই প্রকাশ করেন। অভিনেতা নিজেই জানিয়েছেন, স্ত্রীর জীবনের শেষ সময়ে তিনি যা চেয়েছিলেন, কিছুই অভিনেতা করতে পারেননি।

চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে ছোটপর্দা—অভিনয়ে সাফল্য থাকলেও সংসারে ব্যস্ততার কারণে শংকরবাবু নিজেকে যথেষ্ট সময় দিতে পারেননি বলে স্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, অনেক সময় তিনি দূরত্ব তৈরি করেছিলেন, এমনকি শেষ ইচ্ছেটুকুও পূরণ করতে পারেননি। অভিনেতার বক্তব্যে উঠে এসেছে অনুশোচনা—“কি যে বাজে ব্যবহার করেছি, সোনালীর শেষ ইচ্ছেও রাখতে পারিনি, কোন কথা শুনিনি।” এই স্বীকারোক্তিই প্রমাণ করে স্ত্রীকে হারানোর পর কতখানি ভেতর থেকে ভেঙে পড়েছেন তিনি।

সোনালী চক্রবর্তী জীবনের শেষ সময়ে একটি সাধারণ ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। শংকরবাবুর কাছে তাঁর আবদার ছিল ঘুরতে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু নানা কারণে সেই ছোট্ট ইচ্ছেও পূরণ হয়নি। আজও সেই কথা ভাবলে অপরাধবোধে কষ্ট পান অভিনেতা। সংবাদমাধ্যমে তিনি খোলাখুলি জানিয়েছেন, যদি সামান্য একটু সচেতন হতেন তবে হয়তো শেষ সময়ে স্ত্রীকে আরও খুশি করতে পারতেন।

অভিনেত্রী সোনালী শুধু তাঁর স্ত্রী নন, সংসারের স্তম্ভও ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পুরো পরিবারই ভেঙে পড়েছে। তবে শংকরবাবু জানিয়েছেন, আজও প্রতিদিনের ছোট ছোট স্মৃতিই তাঁকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে। কখনও সংসারের হাসিখুশি মুহূর্ত, আবার কখনও দু’জনের একসঙ্গে কাটানো সময়ই তাঁর ভরসা।

আরও পড়ুনঃ “বুকের সামনে ব্যাগ নিয়ে হাঁটতাম…ইভ’টিজা’ররা ভিকটিম সেজে ঘুরছে!” “জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত, ওরাই আসল থ্রেট!”— নারীদের পোশাকে বিতর্ক নয়, অপরাধীর বাড়বাড়ন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুললেন টলিউডের ‘সাহসী সুন্দরী’ মিমি চক্রবর্তী!

অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর টলিউড জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। কারণ তার স্ত্রী নিজেও একজন টলিউড অভিনেত্রী ছিলেন। বহু সহকর্মী শংকরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তবে বাস্তবে শূন্যতা কেউই পূরণ করতে পারেনি। শংকরবাবু এখন কেবল স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছেন। তিনি মনে করেন, সোনালীর ভালোবাসাই তাঁকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পথ দেখাবে।