টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ শ্রুতি দাসের জীবনের সঙ্গে যেন অদ্ভুতভাবে জড়িয়ে আছে মা কালী। পর্দার চরিত্র হোক বা বাস্তব জীবন— দু’জায়গাতেই দেবীর উপস্থিতি যেন ছায়াসঙ্গীর মতো পাশে থাকে। কালীপুজোর আগেই অভিনেত্রীর মুখে শোনা গেল সেই অনুভূতি, যেখানে ভক্তি, ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা মিলেমিশে রয়েছে।
অভিনেত্রীর জীবনে দেবীর ভূমিকা শুধু অভিনয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শ্রুতি জানিয়েছেন, “মা কালী আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজের ব্যস্ততায় এ বছর উপোস রাখা সম্ভব না হলেও মা জানেন আমি তাঁকে কতটা ভালোবাসি।” দর্শকদের কাছে তাঁর দেবীরূপের ছাপ এতটাই গভীর যে একবার মন্দিরে শুটিংয়ের সময় এক সহ-অভিনেতা তাঁকে প্রণাম করে বলেছিলেন, “তোমায় দেবী মনে হয়েছিল এক মুহূর্তের জন্য।” সেই ছোট্ট অভিজ্ঞতাই শ্রুতির কাছে আজও এক অমূল্য স্মৃতি।
শ্রুতির জীবনের সবচেয়ে মধুর সংযোগটি কিন্তু বাস্তবের মধ্যেই। তাঁর নিজের মা-ই নাকি সবচেয়ে বড় ভক্ত। শ্রুতির কথায়, “আমি যখন দেবীর সাজে থাকি, মা বলেন মেকআপ তুলে যেন বাড়ি না ফিরি। শুধু ওই রূপেই একবার দেখতে চান। সেটাই মায়ের শান্তি।” এই কথাগুলো শুনলে স্পষ্ট বোঝা যায়, শ্রুতি দাসের দেবীস্বরূপ ভাবমূর্তি কেবল অভিনয় নয়, তা এক গভীর মানসিক সংযোগ, যার মধ্যে রয়েছে এক আবেগের প্রতিফলন।
অভিনয়ের ব্যস্ত সময়সূচি থাকা সত্ত্বেও শ্রুতি কালীপুজোর দিনটিতে নিজের মতো করে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন। তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের ছোট্ট পুজোয় তিনি থাকবেন পরিবারের সঙ্গে। কাজের ফাঁকে এই সময়টুকুই তাঁর মানসিক প্শান্তির জায়গা। তিনি বিশ্বাস করেন, “মা সব ঠিক করে দেন, আমায় শুধু নিজের মতো করে বাঁচতে হয়।”
আরও পড়ুনঃ ‘দুর্গা’ থেকে ‘সাধক রামপ্রসাদ’র পর, দর্শকের প্রিয় অভিনেত্রী পায়েল দে আবারও ফিরছেন স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিকে! কোন প্রোডাকশন হাউজে, কবে আসছে প্রথম প্রোমো?
পর্দার বাইরে একজন সংবেদনশীল মানুষ হিসেবে শ্রুতি দাস জানিয়েছেন, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁর শক্তি ও ভরসা ‘মা কালী’। কালীপুজোর আগে তাঁর এই অনুভূতি শুধু এক অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত বিশ্বাস নয়, বরং সেই চিরন্তন সত্যের প্রতিফলন— যেখানে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে যুক্ত থাকে আস্থার আলো।