ডিসেম্বরে বাংলা ছবির বাজার মানেই এক আলাদা উত্তেজনা আর বড়দিন ঘিরে সেই উত্তাপ আরও খানিকটা বেড়ে যায়। সামনেই আসছে উৎসবের মরসুম, তার আগেই ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে ফের আলোচনায় ‘দেব ও শুভশ্রী’ (Dev-Subhasree)। অতীতে একসঙ্গে কাজ করা এই জনপ্রিয় জুটি এখন আলাদা পথে হাঁটলেও, তাঁদের ছবি মুক্তির সময়সূচি বারবার এমনভাবে মিলে যাচ্ছে যে তুলনা আর মুখোমুখি লড়াই অনিবার্য হয়ে উঠছে। দর্শকের কৌতূহল যেমন বাড়ছে, তেমনই এই অঘোষিত প্রতিযোগিতার রেশও ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।
এই বছরের বড়দিনে মুক্তি পেতে চলেছে দেব অভিনীত ‘প্রজাপতি ২’ এবং শুভশ্রী অভিনীত ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’। বিষয়বস্তু থেকে আবহ, সব দিক থেকেই ছবি দু’টি একেবারে ভিন্ন স্বাদের। তবু একই দিনে মুক্তি মানেই বক্স অফিসের অঙ্কে তুলনা চলবেই, সেটা সকলেই জানেন। তার আগেই অবশ্য দর্শকদের সামনে এসে গিয়েছে দুই ছবির গান। একই দিনে মুক্তি পাওয়া এই দুই গান নিজেদের মতো করেই নজর কেড়েছে। কোথাও নস্টালজিয়ার ছোঁয়া, কোথাও আবার সম্পূর্ণ আলাদা এক আধ্যাত্মিক আবহ।
দেবের ছবির গান দর্শকদের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে পুরনো দিনের পরিচিত অনুভূতিতে, যেখানে আবেগ আর স্মৃতির মেলবন্ধন স্পষ্ট। অন্যদিকে শুভশ্রীর ছবির গানে তাঁর সম্পূর্ণ ভিন্ন লুক ও চরিত্র দর্শকদের নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে। এই দুই গানই প্রমাণ করেছে যে বড়দিনের আগে থেকেই দুই শিবির নিজেদের শক্তি জানান দিতে শুরু করেছে। ফলে ছবি মুক্তির আগেই আলোচনা যেন খানিকটা গরম হয়ে উঠেছে। এই আবহেই ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির প্রচারে শুভশ্রীকে প্রশ্ন করা হয় দেবের ছবির সঙ্গে ফের বড়দিনে মুখোমুখি হওয়া নিয়ে।
বক্স অফিসে লড়াই, নম্বরের হিসেব কিংবা প্রতিযোগিতার চাপ, এসব নিয়ে অভিনেত্রীর ভাবনা কী? জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে শুভশ্রী খুব সংযত অথচ স্পষ্টভাবে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমার ছবিটাকে আলাদা করে রাখলেই ভালো এইসব প্রতিযোগিতা থেকে। আমার এই ছবিটা করতে গিয়ে তেমন ঐশ্বরিক শক্তি অনুভব করেছি আর চেষ্টা করেছি দৈবিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার গল্পটাকে। আমি বিনোদিনী হয়েই যা অনুভব করেছি বলে বোঝানো যাবে না, দিব্যজ্যোতি সেখানে শ্রীচৈতন্যর ভূমিকায় অভিনয় করে আরও অনুভব করেছে।
আরও পড়ুনঃ সবার যে আমাদের দেখে ভালো লাগবে তা কখনোই হতে পারে না! কিছু মানুষের তো খারাপ লাগবেই, সৌম্যকে বিয়ের পরের কটা’ক্ষ, সমালোচনাকে পাত্তা দিতে নারাজ মধুবনী!
তাই আমি এই ছবিটাকে সমস্ত প্রতিযোগিতার থেকে আলাদাই রাখছি। তবে, চাই সব ছবিই যেন চলে। শেষ পর্যন্ত বাংলা সিনেমার সার্বিক উন্নতি আমাদের কাম্য।” সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে, বড়দিনের লড়াই নিয়ে আলোচনা যতই চলুক, শিল্পীদের দৃষ্টিভঙ্গি সবসময় একরকম নয়। দেব ও শুভশ্রীর ছবির সংঘর্ষ দর্শকের জন্য নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয় হলেও, তার পাশাপাশি কোয়েল মল্লিকের মতো অভিনেত্রীরাও নিজেদের জায়গা শক্ত করতে প্রস্তুত। শেষ পর্যন্ত কোন ছবি কতটা সাফল্য পাবে, তা সময়ই বলবে।






