Singer Death: “ঘুম পাচ্ছে”! হঠাৎই ফেসবুকে স্বে’চ্ছামৃ’ত্যুর ইচ্ছা প্রকাশ শিল্পী অনিন্দ্যর! বাড়ি থেকে উদ্ধার করলেন বন্ধু সিধু

“যখন নীরবে দূরে দাঁড়াও এসে, যেখানে পথ বেঁকেছে/ তোমায় ছুঁতে চাওয়ার মুহুর্তরা, কে জানে, কী আবেশে দিশাহারা”… সত্যিই কোনও এক আবেগে শিল্পীরা সবসময় বিসাদে থাকেন। আসলে শিল্পীরা সেই অনুভূতি অনুভব করতে পারেন যেটা সাধারণ মানুষেরা পারেন না। তাই তাঁরা শিল্পী, খামখেয়ালি। আর এর উদাহরণ নতুন নয়। তবে সম্প্রতি বিষাদে ডুবে গিয়েছিলেন, “শহর” ব্যান্ডের এই গানের গায়ক, অনিন্দ বোস (Anindya Bose)।
Anindya Bose

শিল্পীরা যে খামখেয়ালি হয় তা আর আলাদা করে কাউকেই বলতে লাগে না। সবসময় তাঁরা একটা সৃষ্টির মধ্যে থাকেন। আমাদের রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে লিংকিং পার্ক সবাই তাঁর উদাহরণ। দেশ, সীমানা কোনও কিছুর গণ্ডিই মানেন না এনারা। তাই তাঁদের অ’কাল মৃ’ত্যু, স্বেচ্ছা মৃ’ত্যু সবই খুব যেন স্বাভাবিক হয়ে যায়।
Anindya Bose

তবে শিল্পীরা তাঁদের সৃষ্টি দিয়ে মানুষেরও খুব কাছের হয়ে যায়। তাঁদের অনুরাগীরা তাঁদেরকে ভালোবাসেন। তাঁদের এক একটি সৃষ্টিকে আঁকড়ে ধরে অনেকেই বেঁচে থাকেন। সেই শিল্পীর মৃ’ত্যুর কথা জানতে পারলে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের চিন্তা হয়। হঠাৎই এরকম একরাশ দুশ্চিন্তা অনুরাগীদের মাথায় এনে দিয়েছিলেন গায়ক অনিন্দ বোস।

বচসা শুরু হয় তাঁর একটু ফেসবুক পোস্ট থেকে। তিনি খোলাখুলি নিজের ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, “নিজেকে খুব খারাপ লাগছে…তাই বিদায় নিচ্ছি…যাঁরা আমাকে ভালবেসেছেন,আদর দিয়েছেন, সেই ছোট্টবেলা থেকে পছন্দ করেছেন…তাঁদের প্রত্যেককে প্রণাম…আমি খুব খারাপ মানুষ…তাই চলে যাওয়াই ভাল…আমি আপনাদের যোগ্য নই, আমার এই স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়”।

শেষে গায়ক আরও লেখেন, “ঘুম পাচ্ছে”। আর তার সঙ্গে অল্প স্মিত হাসির ইমোজি। স্বাভাবিকভাবেই অনুরাগীদের মধ্যে ও তাঁর বন্ধুবান্ধবদের মধ্যেও জল্পনা সৃষ্টি হয়। আর সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যান বন্ধু সিধু। ওই পোস্টের কমেন্ট তিনি লেখেন, “চিন্তার কিছু নেই। আমি ওর বাড়ি পৌঁছে গিয়েছি। আমার বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি”।
Anindya Bose