ছোট পর্দায় তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কারওরই সন্দেহ নেই। তবুও বেশ কিছুদিন ধরেই ‘স্নেহা চট্টোপাধ্যায়’কে (Sneha Chatterjee) টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাচ্ছে না। কেন? কারণটা জানলে চমকে উঠতে হয়। চরিত্রের অভাব নয়, বরং চরিত্রের ধরন নিয়েই আপত্তি অভিনেত্রীর। বয়সে তরুণী, বাস্তবে চার বছরের সন্তানের মা, অথচ বারবার তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে অনেক বড় ছেলের মায়ের ভূমিকায়! এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্নেহা নিজেই।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে স্নেহা জানান, “জানি, আরও কয়েক বছর পর এই ধরনের চরিত্র আসবেই, তখন নিশ্চয়ই করব। কিন্তু এখনই কেন? আমি তো এখনও এই বয়সে পৌঁছাইনি!” অভিনেত্রীর কথায় স্পষ্ট, তিনি নিজেকে এমন চরিত্রে মানিয়ে নিতে নারাজ, যেখানে তিনি বয়সের তুলনায় অনেক বেশি প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে উঠে আসবেন। তাঁর মতে, শুধুমাত্র কাজের খাতিরে সব কিছু মেনে নেওয়া যায় না। তবে স্নেহা কাউকে দোষ দিচ্ছেন না।

উল্টে তিনি বলছেন, “চ্যানেলকেও দোষ দেওয়া যায় না। কেউ না কেউ রাজি হয়ে যাচ্ছেন বলেই এ ধরনের চরিত্রের চাহিদা বাড়ছে।” তাই তাঁর ধারণা, শিল্পীদের এবার ভাবার সময় এসেছে, না হলে ইন্ডাস্ট্রির এই একঘেয়েমি চরিত্র বাছাই চলতেই থাকবে। উল্লেখ্য, স্নেহাকে শেষবার ছোট পর্দায় দেখা যায় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ আর তারপর তিনি নজরে আসেন ‘লজ্জা ২’-তে।
বর্তমানে হাতে কোনও টেলিভিশনের কাজ নেই অভিনেত্রীর। সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু মন তো পড়ে রয়েছে পর্দাতেই। নিজের দুঃখকে তুলে ধরে তিনি বলেন, “অন্যরা কাজ করছে, আমি বসে আছি, মন খারাপ হয়। ছেলেকে বড় করতে খরচ হয়, সেটাও তো একটা বাস্তব।” তাঁর প্রশ্ন, “বছরে দুটো ছবি আর একটা সিরিজ করে কি সেই খরচ চালানো সম্ভব?” স্নেহার আরও একটা দুশ্চিন্তা ধারাবাহিকের স্থায়িত্ব নিয়ে।
আরও পড়ুনঃ বৌঠানের বিশেষ দিনে অসুস্থ নতুন! নতুনের অনুপস্থিতিতে কি আবার অভিমান তৈরি হবে কমলিনীর মনে? তবে, কি স্বতন্ত্রের দিন ফুরিয়ে এলো?
আগের মতো এখন আর একটা ধারাবাহিক দীর্ঘদিন চলে না, মাসখানেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক সময়ে। এমন অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে, ছোট পর্দার কেরিয়ার আর আগের মতো থাকছে না। তাই নতুন কাজের অপেক্ষায় দিন গুনছেন অভিনেত্রী। তবে তিনি আশাবাদী—”দর্শকরা কখনও ভুলে তাঁকে ভুলে যাবে না, বরং এখনও অনেকেই ‘সুবর্ণলতা’র কথা মনে করিয়ে দেন তাঁকে। তবে পরিচালকেরা ভুলে যান কি না, সেটাই তাঁর দুশ্চিন্তা।






‘পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চালিয়েই যাচ্ছিল, অবসাদ থাকলেই যা খুশি করা যায় না!’ ‘মান’সিকভাবে অ’সুস্থ হলেও সীমা মানতে হয়, লেবুটা এমন কচলাবেন না যাতে তেতো হয়ে যায়!’– ঋজুকে নিয়ে মানসীর স্মৃতিচারণে সামনে এলো নতুন বিতর্ক, বিভিন্ন ম্যাসেজ করে উত্তপ্ত করেছেন অভিনেত্রীর বোনকে!