এক সময় ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা, দুই ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতায় ধারাবাহিকভাবে কাজ করেছেন অভিনেত্রী ‘সোনালী চৌধুরী’ (Sonali Chowdhury)। ছোটপর্দায় ‘অগ্নিপরীক্ষা’ ধারাবাহিক তাঁকে এনে দিয়েছিল অগণিত দর্শকের ভালোবাসা। সেই সময়ে দাপুটে অভিনয় দিয়ে তিনি টেলিপাড়ায় নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জীবনের অগ্রাধিকার পাল্টে গেছে। এখন তাই অভিনয় নয়, সোনালীর সবচেয়ে বড় দায়িত্ব তাঁর ছেলে রিয়ানকে নিয়ে। বছর চারেক বয়সের রিয়ানই আজ তাঁর সমস্ত ব্যস্ততার কেন্দ্রবিন্দু।
বর্তমানে অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে জি বাংলার ‘মিত্তির বাড়ি’ ধারাবাহিকে। তবে আগের তুলনায় কাজের চাপ তিনি ইচ্ছে করেই অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন। টেলিভিশন হোক কিংবা সিনেমা, নতুন সুযোগ আসলেও সবকিছু ছেলের সুবিধা-অসুবিধার কথা ঘিরেই ভাবেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি সোজাসাপটা জানিয়েছেন, আপাতত নতুন কোনও ধারাবাহিক বা বড়সড় কাজের কথা ভাবছেন না। তাঁর কাছে পরিবারের সঙ্গে কাটানো সময়টাই বেশি মূল্যবান।
স্বামী রজত ঘোষ দস্তিদার যেহেতু কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন প্রায়, তাই ছেলের প্রতি দায়িত্বও অনেকাংশে তাঁর কাঁধেই বর্তায়। অভিনেত্রীর বিশ্বাস, জীবনের সবকিছু শিখে নেওয়া যায় শুধুমাত্র পড়াশোনা বা শোনার মাধ্যমে নয়, বরং চারপাশের ঘটনাগুলো দেখে আর অনুভব করেই। সেই কারণেই তিনি চান, ছেলের বড় হওয়ার প্রতিটি মুহূর্ত কাছ থেকে উপভোগ করতে। সোনালীর মতে, ছেলেকে বড় হতে দেখার অভিজ্ঞতাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
তিনি কোনওভাবেই চান না, রিয়ানের ছোটবেলায় তার পাশে না থাকার আফসোস একদিন তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াক। তাই রাত অবধি কাজ করতে হলে তাঁর মন খারাপ হয়, মনে হয় এই সময়ে সন্তানের কাছে তাঁর প্রয়োজন ছিল। কাজে অগ্রগতি, জনপ্রিয়তা কিংবা সাফল্যের দৌড়— এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন সোনালী। তাঁর কাছে জীবনের মানে শুধু পেশাগত উজ্জ্বলতা নয়, বরং মানসিক শান্তি। তিনি বিশ্বাস করেন, আশেপাশের সবকিছু ঠিক থাকলে তবেই সত্যিকারের সুখ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ “অনামিকার হিরো হতে পারব না, সুন্দরী কাউকে নাও নায়িকা হিসেবে!” “অনামিকাকে নিও না, অনুরাধাকে নাও!”— অভিনেতার ছিল রূপের দম্ভ, নায়িকাদের সন্মান করতেন না! এবার রঞ্জিত মল্লিককে নিয়ে বি’স্ফোরক অনামিকা সাহা
নিজের সাফল্যের জন্য পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোকে তিনি কোনওদিনও বিসর্জন দিতে চান না। সোনালীর জীবনদর্শন তাই অন্য অনেকের থেকে আলাদা। তিনি মনে করেন, জীবনে একা এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে কোনও সার্থকতা নেই। বরং চারপাশের মানুষদের নিয়ে একসাথে চলতে পারাই প্রকৃত সাফল্য। তাই আজও যখন তাঁকে বড়পর্দা বা ছোটপর্দায় দেখা যায়, দর্শক বুঝতে পারেন, অভিনয় তাঁর কাছে শুধুই একটি মাধ্যম। কিন্তু বাস্তব জীবনে তিনি প্রথমে একজন মা, তারপর একজন অভিনেত্রী।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।