টলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত দম্পতি ‘কাঞ্চন মল্লিক’ (Kanchan Mullick) এবং ‘শ্রীময়ী চট্টোরাজ’ (Sreemoyee Chattoraj)। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৃতীয়বারের মতো সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন কাঞ্চন। দীর্ঘদিনের সঙ্গিনী শ্রীময়ীকেই সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে জীবনসাথী হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। এরপর মার্চ মাসে ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয় তাঁদের সামাজিক বিয়ে। তবে বিয়ের মতোই সন্তানের আগমনের খবরটাও তাঁরা অনেকটাই গোপনে রেখেছিলেন।
বিয়ের সাত মাস পেরোতেই তাঁদের জীবনে আসে ছোট্ট কৃষভি। খবরটা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় দর্শকমহলে। বয়সে ফারাক, তৃতীয় বিয়ে, অতীতের সম্পর্ক— সব মিলিয়ে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর সম্পর্ক নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। বহুজন ভেবেছিলেন এই সম্পর্ক বেশিদিন টিকবে না। কিন্তু সব গুজব, কটাক্ষকে উপেক্ষা করে দিব্যি সংসার করছেন এই দম্পতি। বরং একে অপরের পাশে থেকে নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন তাঁরা।
সন্তান কৃষভির আগমন সেই সংসারে এনে দিয়েছে বাড়তি উষ্ণতা। সম্প্রতি এই দম্পতির নতুন এক রসিকতার মুহূর্ত সামনে এসেছে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ। এদিন চ্যানেলের তরফ থেকে সানডে ধামাকা পর্বের প্রোমো প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে শ্রীময়ী চট্টোরাজকে। সেখানেই কাঞ্চনকে নানা ভূমিকায় নম্বর দিতে বলা হয় তাঁকে। প্রেমিক, বাবা, বর— প্রতিটি দিকেই কাঞ্চন কেমন, তা নিয়ে রেটিং দেন তিনি? শ্রীময়ীর কথায়, বাবা হিসেবে কাঞ্চনকে তিনি ১০০০ এ ১০০০ দেবেন।
প্রেমিক হিসেবেও তাঁর পারফরম্যান্স একেবারে নিখুঁত। তবে বর হিসেবে নম্বর দিতে গিয়ে শ্রীময়ী হঠাৎ বলেন, “বর হিসেবে কোনও নম্বর দেব না।” শ্রীময়ীর এই মন্তব্যে হাসির রোল ওঠে পুরো সেটে। রচনার থেকে শুরু করে উপস্থিত তারকা প্রতিযোগীরাও হেসে গড়াগড়ি খান। প্রোমোটি সামনে আসতেই দর্শকদের নানা প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। কেউ লিখেছেন, “প্রতিটা সিজনে কাঞ্চনের একেকটা বউ এসে রচনার সঙ্গে হেসে যায়।”
আরও পড়ুনঃ “বাংলা বলার কী দরকার?” থেকে “বাংলা প্রাণের ভাষা!”— বিতর্কে ফেঁসে গিয়ে সুর বদলালেন প্রসেনজিৎ! টলিউডে কেরিয়ার বাঁচাতেই কি ঘুরে দাঁড়ালেন বুম্বাদা? এবার মাতৃভাষার দিলেন কোন ভাষাপ্রীতির পাঠ?
কেউ আবার কটাক্ষ করে বলেন, “যদি প্রেমিক বা বাবা হিসেবে এতটাই ভালো হতেন, তবে একের পর এক বিয়ে করতেন না।” আবার কেউ কেউ তাঁদের উপস্থিতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন, “এদেরকে ডাকা হয় কেন? লজ্জা বলে কিছু নেই বুঝি?” সমাজ মাধ্যমের এই ব্যঙ্গবিদ্রুপে অবশ্য বিশেষ কান দিচ্ছেন না কাঞ্চন বা শ্রীময়ী। তাঁরা আপাতত তাঁদের ছোট্ট সংসার ও সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত। বিতর্ক তাঁদের পিছু না ছাড়লেও, তাঁরা নিজেদের মতো করে সুখ খুঁজে নিতে চাইছেন। সময় বলবে, সেই হাসি কতটা স্থায়ী হয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।