মে মাসের শেষ দিনে, অর্থাৎ ৩১ তারিখ মুক্তি পেয়েছিল ‘শুভশ্রী গাঙ্গুলী’ (Subhashree Ganguly) অভিনীত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ছবি ‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihaprabesh) ট্রেলার। যেখানে এক নববধূর নিঃশব্দ যন্ত্রণা আর দায়িত্ব পালনের কঠিন সত্যকে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী তাঁর অনবদ্য অভিনয়ে। ঘর ভর্তি মানুষ, নিয়ম-কানুন, কিন্তু যাঁর জন্য এই সংসারে পা রাখা, সেই স্বামী—তাঁর অনুপস্থিতি যেন এক অদৃশ্য কমতি। বাড়ির বউ হিসেবে সমস্ত কর্তব্য পালন করেও যেন সে একা, নিঃসঙ্গ। ‘গৃহপ্রবেশ’ তাই শুধু নতুন জীবনে পা রাখার নয়, বরং সম্পর্কের ভাঙা-গড়ার এক আবেগঘন গল্প।
ছবিতে শুভশ্রীর সঙ্গে রয়েছেন জিতু কামাল, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সোহিনী সেনগুপ্ত ও রুদ্রনীল ঘোষের মতো শক্তিশালী অভিনেতারা। পরিচালনা ও কাহিনির দায়িত্বে রয়েছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। ১৩ জুন মুক্তি পেতে চলা এই ছবি শুরু থেকেই টান টান আবহে ভরপুর। এরই মধ্যে সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী ছবির সাথে সাথে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আলোচনায় হাজির ছিলেন।
এদিন প্রথমেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এই ধরনের ছবিই কেন পছন্দ হলো? উত্তরে দৃঢ় কণ্ঠে শুভশ্রীর জবাব, “পরিণীতা করার পর বাঘ যেমন রক্তের স্বাদ পায়, আমিও পেয়েছি। এই রকম চরিত্র করে কোথাও যেন সমাজের অংশ হয়ে উঠতে পারি, আর সেটা সত্যিই ভালো লাগে। এখনও মনে করা হয় যে বিবাহিতা স্ত্রী বুঝি নতুন সম্পর্কে পড়তে পারেন না। আমি মনে করি সবাই একটা আলাদা স্বত্ত্বা, সম্পর্কের বাঁধনে নিজেকে বাঁধার আগে।
তাই সে যদি নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার রসদ খুঁজতে কোনও সম্পর্কে পড়ে, তাহলে ক্ষতি কিসের? ‘গৃহপ্রবেশ’ ছবির মাধ্যমে এটাই আমাদের চেষ্টা, যাতে সমাজের এই গোড়া নিয়মগুলোকে ভেঙে ফেলা যায়।” এরপর প্রশ্ন করা হয় যে টলিউডে রাজ-শুভশ্রী জুটিকে ‘পাওয়ার কাপল’ বলা হয়, এই বিষয়ে তিনি কতটা সহমত? শুভশ্রী বলেন, “আমরা আর পাঁচটা সাধারণ দম্পতিদের মতনই জীবন যাপন করি, দর্শকেরা এই তকমা দিয়েছেন, তাতে খারাপ লাগার তো কিছু নেই।”
এরপর প্রশ্ন আসে, বারবার সমাজ মাধ্যমে অথবা কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানে তার শুভশ্রী ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুম্বন চোখে পড়ে। এই বিষয়ে নানান আলোচনা থেকে সমালোচনা হয়, এটাকে নিয়ে তিনি কি বলতে চান? অভিনেত্রীর কথায় স্পষ্ট যে তিনি এইসব তুচ্ছ সমালোচনায় কান দেন না। তাঁর কথায়, “সবারই একটা ভাষা থাকে ভালোবাসা প্রকাশ করার, আমাদের ক্ষেত্রে সেটা চুমু। স্বাভাবিক ভাবেই আসে, কোনও যৌনতা বা শারীরিক চাহিদা থেকে নয়। অনেকক্ষণ পর কাউকে দেখলে আমি চুমু খেয়ে থাকি,
আরও পড়ুনঃ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রখ্যাত বাঙালি পরিচালকের আকস্মিক মৃ’ত্যু! অসম্পূর্ণ রয়ে গেল বহু প্রতীক্ষিত সিক্যুয়েল!
রাজের ক্ষেত্রে সেটা শুধু ঠোঁটে। বাচ্চাদের সামনেও খাই, যাতে বড় হয়ে ওরা জিনিসটাকে স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে।” শেষে প্রশ্ন করা হয়, দীর্ঘ নয় বছরের প্রতীক্ষার পড়ে অবশেষে ধুমকেতু মুক্তি পাচ্ছে। এই নিয়ে তিনি কি বলতে চান? শুভশ্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে অন্য কোনও ছবি বা কাজ নিয়ে কথা বলতে রাজি নন। বরং ‘গৃহপ্রবেশ’-এর তিতলিই তাঁর কাছে এখন সবচেয়ে আগে। ছবি মুক্তির আগে সেই জন্যে যতটা পারেন এটাকে নিয়েই আলোচনা করতে চান।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।