স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আদালতের উত্তেজনা পৌঁছেছে চরমে! শুনানির শুরুতেই চন্দ্রর উকিল অয়নদীপ প্রথমেই বিস্ফোরক দাবি করেন যে, চন্দ্রকে সোহিনী অপহরণ করে রেখেছিল দীর্ঘদিন। শুধু তাই নয়, চন্দ্রকে জোর করে তার সন্তানের বাবা সাজিয়ে মিথ্যা সম্পর্কের গল্প বানানো হয়েছিল। তিনি আরও জানান, এই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে চন্দ্র একসময় নিজের বাড়িতে পালিয়ে আসে, যেখানে সে এখন আশ্রয় নিয়েছে।
এই বক্তব্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আদালত চত্বরে, আর তখনই পাল্টা পদক্ষেপে চিঠিটি পেশ করেন কমলিনীর উকিল, যা মুহূর্তে পাল্টে দেয় মামলার মোড়। উকিল সোহিনীর লেখা একটি চিঠি পেশ করেন, যাতে স্পষ্ট চন্দ্রর সঙ্গে সোহিনীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের ইঙ্গিত একেবারে জ্বল জ্বল করছে। এই প্রমাণ যে চন্দ্রকে দোষী সাব্যস্ত করতে যথেষ্ট, বুঝতে পেরে চিন্তা আর ভয়ে শুকিয়ে যায় তার মুখ। এরপর অয়নদীপ কমলিনী-স্বতন্ত্রের চরিত্র নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
এতে পরিস্থিতিকে আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে কমলিনীর উকিল স্পষ্টভাবে জানান, স্বতন্ত্র একজন স্বনামধন্য প্রফেসর—যিনি বহু ছাত্রছাত্রীকে জীবন গড়ার পথ দেখিয়েছেন। তাঁর সম্মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে শিক্ষাব্যবস্থাকেই অসম্মান করা। একইভাবে কমলিনীকেও অপমান করা নিয়ে আদালতে কড়া সুরে প্রতিবাদ ওঠে। বিচারক যদিও সরাসরি কোনও রায় না দিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেন এবং তখন উভয় পক্ষকে সমস্ত নথিপত্র ও প্রমাণ জমা দিতে নির্দেশ দেন।
বর্ষা বুঝতে পেরে গেছে চন্দ্র কেমন ঠগ, এবার দোষ পড়ার ভয়ে তাই সরে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। এদিকে আদালত চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর স্বতন্ত্র স্পষ্ট করে জানায়, যদিও তাদের উকিল বেশ নতুন, কিন্তু তার মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস এবং লড়াই করার মানসিকতা রয়েছে, তা যথেষ্ট আশার আলো দেখাচ্ছে। সে মনে করে, এই তরুণী উকিল-ই হয়তো শেষ পর্যন্ত কেসটি জেতাতে পারবে। অপরদিকে কুর্চি তার পরিবারকে নিয়ে ভীষণ বিরক্ত, বিশেষ করে মায়ের সিদ্ধান্তে।
আরও পড়ুনঃ নিজের ঘরেই স্বামীকে র’ক্ষি’তার সঙ্গে অ’ন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখেছেন রিয়া গাঙ্গুলী! সন্তানের চোখের সামনেই সেই দৃশ্য, কষ্টের স্মৃতি শেয়ার করে ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী!
কারণ কুর্চির প্রাক্তন স্বামীই এখন কমলিনীর প্রতিপক্ষের উকিল, সেটা ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছে। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসী কমলিনী, চন্দ্রর বিরুদ্ধে এবার জোরদার লড়াইয়ে নামতে চলেছে। তার স্পষ্ট কথা—এই মামলার রায়ে যদি সে জেতে, তাহলে চন্দ্রর আর কোনও ঠাঁই থাকবে না তার জীবনে বা বাড়িতে। এমনকি চন্দ্র যদি না বেরোয়, তাহলে নিজেই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে সে। এই মানসিক টানাপোড়েনে দাঁড়িয়ে চিরসখা-র আগামী পর্বে কমলিনী সুবিচার পায় কিনা, সেটাই এখন দেখার।