“বাবা তো সবই জানেন! তবে বাবার সঙ্গে প*র্ণ দেখো, দরজা খুলে সে*ক্স করো!” “আধুনিকতা মানেই বেহায়াপনা নয়!”— মমতা শঙ্করের পাশে দাঁড়িয়ে এবার বিতর্কে ঝড় তুললেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়! দেবলীনার নাচে আপত্তি, অথচ নিজেদের আধুনিক বলা নিয়ে নেটিজেনদের দুষলেন সুদীপা!

জুলাই মাসের শুরুতেই ডান্স বাংলা ডান্সের ‘চণ্ডালিকা’ নৃত্যনাট্য নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দেবলীনা দত্ত সহ বর্ষীয়ান শিল্পী ‘মমতা শঙ্কর’ (Mamata Shankar)। তারপরেই এক সাক্ষাৎকারে ‘স্যানিটারি ন্যাপকিন’ নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ককে আরও ভিত্তি দিয়ে ফেলেন মমতা, তাঁর সেই কথা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে আসতে থাকে তীব্র প্রতিক্রিয়া। সবাই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা ‘সুদীপা চট্টোপাধ্যায়’ (Sudipa Chatterjee) পাশে দাঁড়ান তাঁর।

সুদীপার সমাজ মাধ্যমে লেখেন, “অসন্তোষজনক কথা বলে থাকতেই পারে, তার মানেই একজন প্রবীণ মহিলা, বিশেষ করে শিল্পীকে এইরূপ অসম্মান করার অধিকার যে কারোর আছে।” নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যেও তিনি সেই পোস্টে লেখেন, “ইদানিং তারকাদের কথায় কথায় কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা কি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে?” এই পোস্টে ফলে সুদীপাকে নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়, যে উনি এই যুগের মানুষ হয়ে কি করে মমতা শঙ্করের প্রাচীনপন্থী মনোভাবকে সমর্থন করছেন?

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুদীপা জানালেন নিজের অভিমত। এক সময়ে বাংলাদেশের এক রান্নার অনুষ্ঠানে গিয়ে গ’রুর মাং’স রান্না করা নিয়ে, সুদীপাকেও নানান সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। তিনি অবশ্য পরে বুঝেছেন, সমাজ মাধ্যমের ট্রোলিংয়ের একটা বড় অংশই অর্থ দ্বারা পরিচালিত কোনও বিশেষ সংগঠন বা ব্যক্তির নির্দেশিত। তাই এখন আর ট্রোলিং নিয়ে মাথা ঘামান না তিনি। সুদীপা এদিন বলেন, “মমতা শঙ্করের বক্তব্যকে আমি সমর্থন করছি সেটা কখনওই বলিনি, যেটা বলেছে যে একজন প্রবীণ মানুষকে এই ভাষায় অপমান কি যথার্থ?

অনেকেই তো দেখলাম বুড়ি, মাসি, ইত্যাদি ব্যবহার করে কটুক্তি করেছেন। আবার অনেকেই বলেছেন যে তাদের প্রথম ঋতুস্রাবের সময় বাবারা সাহায্য করেছিলেন প্যাড ব্যবহার করতে। আমার কথা প্রথমত তারা বলেছে যে ‘মায়ের অনুপস্থিতি’ মনে মা থাকলে বাবার সাহায্যের দরকার ছিল না। দ্বিতীয়ত, বাবার তো সবই জানেন। তাঁরা এতোগুলো বছর জীবনের কাটিয়ে এসেছেন, সবকিছুই যেনে নিশ্চয়ই! তাহলে বাবার সঙ্গে বসে তোমরা ‘প*র্ণ’ দেখতে পেরো না কেন? তোমরা তো তাহলে দরজা খুলেই ‘সে*ক্স’ করতে পারো, বাবা যখন সবই জানেন!”

আরও পড়ুনঃ প্রাকৃতিক দু’র্যো’গে গ্রামের রিসোর্টে আটকে স্বতন্ত্র-কমলিনী! অবশেষে স্বতন্ত্রর আলিঙ্গনে কমলিনী! আদালতের মামলার ভয়ে কাঁপছে মন, কিন্তু সমাজ-সংসার ভুলে একান্তে কমলিনী-স্বতন্ত্র! ‘চিরসখা’য় লেখা হল নতুন অধ্যায়!

তিনি আরও যোগ করলেন, “কিছু জিনিসের গোপনীয়তা আছে! ভারত যেখানে নিজের সংস্কৃতিতে এতটা উজ্জ্বল, সেখানে প্রশ্চাত্তের মানসিকতা টেনে এনে আধুনিক প্রমাণ করার চেষ্টা খুবই লজ্জার! মমতা শঙ্কর সেই একই কথা বলেছেন, বলে নাতনির বয়সী মেয়েরাও অপমান করছেন! এতই যদি আধুনিক হবে, তাহলে দেবলীনার নাচ কেন চোখে লাগলো? ওটাও ফিউশন ছিল আজকের ভাষায়, অত্যাধুনিক প্রচেষ্টা!” সব শেষে তিনি নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে আবারও বললেন, নিজেকে সেই স্তরে না পৌঁছাতে পারলে একজন মানুষকে নিয়ে কদর্য আক্রমণ করা অন্যায়!