অভিনেত্রী সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudipta Banerjee) জীবনে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) মরশুম মানেই আজ এক ধরনের শূন্যতা। ২০২৩ সালে কালীপুজোর আগেই বাবাকে হারানোর পর থেকে তাঁর কাছে উৎসব আর আগের মতো নেই। বাইরে আলো ঝলমলে মণ্ডপে ভিড় জমলেও, মনে বারবার ফিরে আসে সেই অভাবের স্মৃতি। বাবার মৃত্যুর পর থেকে পুজো যতই আসুক, সেই আনন্দের রঙ যেন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে তাঁর কাছে।
যদিও বর্তমানে দর্শক তাঁকে টেলিভিশনের পর্দায় ‘রাঙামতী তিরন্দাজ’ ধারাবাহিকে ‘বৃন্দা’র মতো নেতিবাচক চরিত্রে দেখছেন। তবে বাস্তবের সুদীপ্তা একেবারেই অন্যরকম। টিভিতে দুষ্টুমি করলেও, ঘরে তাঁর কাঁধে রয়েছে অনেক দায়িত্ব। দাদা দূরে উত্তরবঙ্গে থাকেন, ফলে মায়ের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে পুজোর সমস্ত প্রস্তুতির ভার তাঁর উপরেই পড়ে। তিনি নিজেই বলেছেন, “মা যেন ছোট্ট বাচ্চার মতো। খুশি রাখতে পুজোর জামা কিনতেই হয়।”
এমনকি আগের বছর বাবার চলে যাওয়ার দুঃখ এতটাই গভীর ছিল, আর তা ছাড়াও কালাশৌচের কারণে একবারও মণ্ডপে যাওয়া হয়নি। তবে এই বছর তিনি ঠিক করেছেন, মাকে নিয়ে বাইরে বের হবেন। অন্তত উৎসবের আমেজ কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনতে চান তিনি। পুজোর দিনগুলোতে যতটা সম্ভব মায়ের সঙ্গে থাকতে চান, কারণ এটাই তাঁর কাছে এখন সবচেয়ে বড় তৃপ্তি।
কষ্টের মাঝেও তাঁর জীবনে পুজোকে ঘিরেই রয়েছে এক মিষ্টি স্মৃতি। স্বামী সৌম্য বক্সীর সঙ্গে প্রথম আলাপও হয়েছিল নাকি এক খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠানেই। গিরিশ পার্কের ফাইভ স্টার স্পোর্টিং ক্লাবের সেই কালীপুজোর বিশেষ আসরে অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন সুদীপ্তা। সেখানেই দুজনের একে অপরকে ভালোলাগা। তারপর থেকেই শুরু হয়, তাঁদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়। তাই মনখারাপের ভেতরেও এই সময়টা তাঁর কাছে অন্যভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
আজকেরদিনে সুদীপ্তা জানেন, উৎসব আর আগের মতো উজ্জ্বল না হলেও, পরিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোই আসল আনন্দের কারণ। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এবারের পুজোতেও তিনি কিছুটা সময় স্বামীর সঙ্গে থাকবেন। তবে বেশিরভাগ সময়টাই তিনি মাকে দিতে চান। কারণ তাঁর কাছে মা-ই এখন শারদীয়া উদযাপনের একমাত্র কারণ। আর বাবার শূন্যতাকে সঙ্গী করেই এই নতুন বাস্তবতাকে ধীরে ধীরে মেনে নিতে শিখছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ মন খারাপের খবর! স্টার জলসার ভক্তদের জন্য দুঃসংবা’দ! একসঙ্গে বিদায় নিতে চলেছে তিনটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক! ঝাঁপ পড়ছে কোন ধারাবাহিকগুলির?
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।