“আমি না চাইতেই সন্তান আসছিল, আর ও প্রেমিকাকে নিয়ে হোটেলে!” — দাম্পত্যের ভয়াবহ অধ্যায়ের ফাঁস করলেন অভিনেত্রী স্বর্ণকমল দত্ত!

টেলিভিশনের পরিচিত মুখ তিনি। স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক চিরসখা-তে যাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক, সেই স্বর্ণকমল দত্ত বাস্তব জীবনে যেন এক যুদ্ধিনী। সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে খুলে বললেন জীবনের এক অন্ধকার অধ্যায়—একাকিত্ব, সংসার ভাঙন, পারিবারিক মানসিক নিপীড়ন এবং বিচ্ছেদের গভীর ক্ষত। তবে এসবের মাঝেও তাঁর একমাত্র আশ্রয় মেয়ে, যার হাত ধরেই তিনি এখন জীবনে এগিয়ে চলেছেন দৃঢ় আত্মবিশ্বাসে।

স্বর্ণকমল জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই সম্পর্কটি ছিল অশান্তিতে ভরা। তাঁর অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা শুরু থেকেই তাঁকে মানসিকভাবে নিপীড়ন করতেন। এমনকি বাচ্চা জন্মের পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। শাশুড়ির নোংরা আচরণ, স্বামীর দুর্ব্যবহার ও একাধিক বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে তিনি জানান, শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে কখনও তাঁকে সমর্থন দেওয়া হয়নি।

এক হৃদয়বিদারক ঘটনার স্মৃতি তুলে ধরে অভিনেত্রী বলেন, তাঁর মেয়ের সামনেই তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। অপমানিত হয়ে কাঁদতে থাকলে তাঁর ছোট্ট মেয়ে বলে ওঠে, “তুমি দাও, আমি ডাস্টবিনে খাবারগুলো ফেলে দিচ্ছি!”—এই ঘটনা তাঁর জীবনে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপর থেকেই তাঁর মেয়ে আরও কঠোর হয়ে যায় এবং স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, যদি আর কখনও সেই পুরুষের জন্য মায়ের জীবনে জায়গা থাকে, তাহলে সে থাকবে না মায়ের সঙ্গে। স্বর্ণকমল বলেন, ‘‘আজ আমি ওর জন্যই বেঁচে আছি।’’

তিনি জানান, বিবাহিত জীবনে একাধিকবার চেষ্টা করেছেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার। কিন্তু প্রতিবারই প্রতারণা আর অসত্যতার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন শো-র এক অভিনেত্রীর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্কের কথা জানার পরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই দাম্পত্য জীবনে আর ফিরবেন না। তাঁর কথায়, “আমি তথ্যপ্রমাণ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। আজও আমার কাছে সমস্ত প্রমাণ আছে।” তবুও শ্বশুরবাড়ি তাঁকেই দোষারোপ করে বলে, “তুমি কেন আটকাতে পারলে না?”

আরও পড়ুনঃ কমলিনীকে জীবনসঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব স্বতন্ত্রের! ভালোবাসার বদলে নতুনের বন্ধুত্বকেই বেছে নিল কমলিনী! বাড়ির লোভে কমলিনীকে চরি’ত্রহীন বলল চন্দ্র! একঘেয়ে অপমান সহ্য করল না কমলিনী! চন্দ্রকে নিজের জায়গা দেখিয়ে দিল সে! এবার কি করবে চন্দ্র?

নিজেকে এখন একজন “একক মা” (single mother) হিসাবে দেখেন স্বর্ণকমল। বললেন, “একটা মেয়ে শুধুমাত্র পুরুষের উপর নির্ভর করেই বাঁচে না। আমি আমার মেয়েকে মানুষ করছি, কাজ করছি, নিজের যোগ্যতায় দাঁড়িয়ে আছি।’’ তাঁর কথায়, আজ তিনি কাঁদেন না, তিনি লড়েন। তাঁর জন্য এখন সবচেয়ে বড় শক্তি তাঁর মেয়ে, যিনি শুধু সন্তান নন, তাঁর গার্জেন, তাঁর ভরসা। স্বর্ণকমলের বার্তা স্পষ্ট—ভুল সিদ্ধান্ত জীবনে হতে পারে, তবে সেই ভুলকে শিখনীয় অভিজ্ঞতায় পরিণত করাই প্রকৃত সাহস।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।