“অনেকে আমাকে নিয়ে কার্টুন আঁকেন, বেশ লাগে! আমার স্ত’ন এতটা সুন্দর না, যতটা তাঁরা আঁকেন।”— নিজের ‘স্ত’ন-ফোকাসড’ কার্টুন প্রিন্ট করে রেখেছেন! স্বস্তিকার এই হাটখোলা স্বীকারোক্তিতে নেটপাড়ার লজ্জা!

নিজের রূপের উপর এখনও অটুট ভরসা তাঁর! আর প্রেমে বারবার পড়াটাও যেন জীবনের অলিখিত রুটিন। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে অভিনেত্রী ‘স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়’ (Swastika Mukherjee) কে নিয়ে। টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রির আর পাঁচটা অভিনেত্রীর মতো নন তিনি! পারেন না রাখঢাক করে কথা বলতে। বিনোদন জগতের (Entertainment Industry) ব্যতিক্রমী অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি অন্যতম, দই দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত তবুও আজ অব্দি তাঁকে পাল্লা দিতে পারেনি কেউ।

এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বারবার প্রেম করার অধিকার নারীর থাকবে না কেন? এই প্রশ্ন তুলে তথাকথিত শালীনতার মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন স্বস্তিকা। একটার পর একটা সম্পর্ক, বিয়ের উত্থান-পতন, আর সমাজ মাধ্যমে সমালোচনায় খোরাক, এসবে যেন কিছুই যায় আসেনা তাঁর। স্বস্তিকার মতে, পুরুষরা একাধিক প্রেম করলেই ‘ক্যাসানোভা’, আর নারীরা করলেই ‘বেশ্যা’? এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধেই গর্জে তিনি বলেছিলেন, “প্রেম করেছি, কাউকে খুন করিনি!”

Swastika Mukherjee, love confession, multiple relationships, controversy, controversial remarks, women’s rights, slut-shaming, social hypocrisy, bold statement, outspoken actress, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, প্রেম স্বীকারোক্তি, ছয়শো প্রেম, বিতর্ক, নারীর অধিকার, ক্যাওড়াতলা, বেশ্যা তকমা, সমাজে দ্বিচারিতা, সাহসী বক্তব্য, স্পষ্টবক্তা অভিনেত্রী

সম্প্রতি আরেক সাক্ষাতকারে তাঁর আরেক বিস্ফোরক মন্তব্যে নিজেকে চরম রসিকতা পাত্র করেছেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকা বলছেন, “অনেকে আমাকে নিয়ে কার্টুন আঁকেন, বেশ লাগে! কিন্তু কার্টুনে শরীরটা পাতলা হলেও স্ত’ন দুটো অতি রঞ্জিত করে আঁকে! আসলে আমার স্ত’ন এতটা সুন্দর না, যতটা তাঁরা কার্টুনে আঁকেন।” এরপর তিনি জানিয়েছেন আর.জি. কর আন্দোলনের সময়ের কিছু ‘স্ত’ন-ফোকাসড’ কার্টুন তিনি প্রিন্ট করে রেখে দিয়েছেন!

এই বক্তব্য নিয়ে নেটিজেনদের একাংশ রীতিমতো কটাক্ষ করছেন তাঁকে! কেউ বলেছেন, “ক্যামেরার সামনেই এমন কথা বলে, ক্যামেরা বন্ধ হলে কি করে কে জানে।” আবার কেউ বলেছেন, “সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসব বলা কি খুব দরকার? নিজেই নিজের স্ত’নকে আকর্ষণীয় করে দেখান, আর লোকে কিছু বললেই দোষ!” একজন বলেছেন, “প্রকাশ্যে নারী যখন নিজের স্ত’ন নিয়ে আলোচনা করে, তখন বুঝতে হবে সমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে।”

আরও পড়ুনঃ অভিনেত্রী বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধ’র্ষ’ণ ও অনিচ্ছাকৃত গর্ভ’পা’ত! জালে বাংলাদেশি পাবলিক ফিগার, হিরো আলম!

আবার আর একজন সরাসরি কটাক্ষ করে বলেছেন, “আর জি কর আন্দোলনকে আপনি নিজের আর সর্বোপরি নিজের ছবির প্রমোশনাল টুল হিসাবে বাব্যবহার করেছেন। আপনাকে এই জন্য কোনও দিনও ক্ষমা করবেন না কেউ।” সব মিলিয়ে স্বস্তিকার এইসব অকপট স্বীকারোক্তি যেন এখন সমাজ মাধ্যমে ফোঁড়াতে পরিণত হয়েছে! যাকে না পারছেন কেউ সহ্য করতে, আবার না পারছেন সেটা শেষ করতে।