“আমার রূপই এখনও যথেষ্ট! প্রেমের শেষ স্টপেজ ছয়শো, তারপরেই ক্যাওড়াতলা!” “বেশ করব, বারবার প্রেম করবো!”—স্বস্তিকার অকপট স্বীকারোক্তিতে কটাক্ষের ঝড় নেটপাড়ায়!

অন্যায় দেখলেই সোচ্চার হয়ে ওঠেন! অনেকেরই চোখে আধুনিক নারীর সংজ্ঞা তিনি। তিনি আর কেউ নন বরং টলিউড অভিনেত্রী ‘স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়’ (Swastika Mukherjee)আরজি কর কাণ্ড (R.G kar Tilottama Case) নিয়ে বেশ সরব হয়েছিলেন তিনি, এমনকি যমজের চিরাচরিত ট্যাবু ভাঙতে কখনও দ্বিধাবোধ করেন না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে তিনি হয়ে ওঠেন প্রতিবাদের মুখ। নিজের মতাদর্শে তিনি বরাবর স্পষ্টবাদী, এবং এই স্পষ্টতার জন্যই অনেকের চোখে তিনি অনন্য।

অভিনয়ে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে টেক্কা দেওয়ার মতো আত্মবিশ্বাস টলিউডের কোনো অভিনেত্রীর মধ্যেই নেই। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে টলিপাড়ায় রাজত্ব তাঁর। টেলিভিশন, সিনেমা, ওটিটি, থিয়েটার —সব মাধ্যমেই দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং করছেন। টলিউড ছাড়িয়ে বলিউডেও তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা পেয়েছে। তবে পেশাগত সফলতার পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন বহুবার এসেছে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। ব্যর্থ বিয়ে, একাধিক সম্পর্কে জড়ানো, সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে আবার নতুন সম্পর্কে জড়ানো এবং সেই নিয়ে সমাজের চোখ রাঙানি।

তবু কখনও চুপ থাকেননি স্বস্তিকা, বরং সব সময় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানাতে পিছপা হননি তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন তার যে প্রতিবাদী সত্ত্বা মানুষের সামনে এসে গেছে, তাতে আর কখনও প্রেম দরজায় টোকা দেবে কি না সন্দেহ। তিনি আরো বলেছিলেন অতীতে তাঁর ছয়টি সম্পর্ক ছিলো। আর এই সাক্ষাৎকার সামনে আসতেই কার্যত সমাজ মাধ্যম থেকে শুরু করে টলিউডের অন্দরে নানান কাঁটা ছেড়া হয় তার চরিত্রকে ঘিরে। এবার তিনি আবারও এক সাক্ষাৎকারে সেই পুরোনো আত্মবিশ্বাসের সাথেই সামনে এসে জানালেন, “আমি ওটা ভুল বলেছি, ছয় না!

ওটা ছয়শো হবে।” তিনি আরো বলেন, “ছয় বলতেই সবার যেভাবে দম আটকে গেল, আরে বাবা আমি তো শুধু প্রেম করেছি! কাউকে খুন করিনি বা রেপ করিনি, তাতে সবার এত সমস্যা কোথায়? সবাই যদি আমার মতন প্রেম করা শুরু করেন তাহলে সমাজটা অন্তত এই সব ঘটনা গুলোর থেকে মুক্তি পাবে। আমাদের সমাজে পুরুষ একাধিক সম্পর্কে গেলে তাকে বাহবা দেওয়া হয়, কিন্তু একজন নারীকে বলা হয় ‘বেশ্যা’! নারীরা সেই অধিকার পাবেনা কেন যা ‘সো কল্ড আলফা মেল’রা পেয়ে থাকে?

আরও পড়ুনঃ সত্যজিতের চারুলতা আজও উপেক্ষিত! বাংলা চলচিত্রের স্বর্ণযুগের কান্ডারী হয়েও মিলল না পদ্মভূষণ! আজ‌ও না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে মাধবী মুখোপাধ্যায়ের?

তখন তাদের জন্য সুন্দর সব পরিভাষা ব্যবহার করা হয়, যেমন ‘ক্যাসেনোভা’, ‘ওয়াইল্ড লাইফআর’ ইত্যাদি।” তিনি আরো জানান, “বয়সে আমার যাই হোক না কেন, ক্যাওড়াতলা যাওয়ার আগে চেষ্টা করবো ছয় এর পিঠে যেন একটা শূণ্য লাগিয়ে যেতে পারি।” নিজের ইচ্ছা নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “লাস্ট স্টপেজ কালীঘাট বা ক্যাওড়াতলা আসার আগে পর্যন্ত আমার প্রেমের স্টপেজ। অনেক ভালোবাসা আছে আমার সেগুলো বিলাতে চাই, বারবার প্রেম করতে চাই আর আমার এখনও যা রূপ আছে সেটা হয়তো যথেষ্ট।”