স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee), টলিউডের হার্টথ্রব তিনি। একটি নয়, একাধিক কারণে তাঁকে চিনে নেওয়া যায়। তিনি সেলিব্রিটি হওয়ার পাশাপাশি একজন সমাজ সচেতন মানুষ। সমাজে মেয়েদের হয়ে তিনি একাই একশ জনের সমান কথা বলেন। যেমন স্পষ্ট বক্তা তিনি তেমনই তাঁর রূপের ছটা।
কোনও বাঁধনে বেঁধে রাখেন না নিজেকে। লম্বা চুল চুটকিতে কেটে রোনাল্ডোর মতো বয়কাট করে ফেলতে পারেন। বডি শেমিং থেকে স্লাট শেমিংকে তিনি বুড়ো আঙুল দেখাতে পারেন। বাবা সন্তু মুখার্জি ইন্ডাস্ট্রির মানুষ হলেও, এখানে নিজের পরিচয় তিনি নিজেই গড়েছেন। যেমন তাঁর আকর্ষণের ক্ষমতা, তেমনই অভিনয়ের দক্ষতা।
কিন্তু এত কিছুর মাঝেও আদতে কি স্বস্তিকা একা? এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, খুব কম বয়সে মা বাবার পছন্দ করে দেওয়া ছেলেকে বিয়ে করেন। পাত্র ছিলেন জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেন। কিন্তু বিয়ের দুবছর পর মেয়েকে কোলে নিয়ে চলে আসেন বাপের বাড়িতে। আর ফিরে যাননি সেই সম্পর্কে।
দীর্ঘ এক আইনি লড়াই চলে। কিন্তু এই বিয়েটাকে তিনি খারাপভাবে নিতে চান না। কারণ বিয়েটি না হলে তিনি তাঁর মেয়ে অন্বেষাকে পেতে পারতেন না। সেই সময় নিজেকে সিঙ্গল মাদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন অভিনেত্রী। কিন্তু তারপরও কিন্তু তাঁর জীবনে বেশ কয়েকটি প্রেম এসেছে বলেই শোনা যায়। কিন্তু সেই বিষয় কোনওদিনই কোনও শিলমোহর পড়েনি।
মাঝে টলিউডে গুঞ্জন উঠেছিল, অভিনেতা জিতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জড়িয়েছিলেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে অভিনেতা ও অভিনেত্রী দুজনের কেউই বিশেষ মুখ খোলেননি। তবে সেই সম্পর্কও বেশিদিন টেকেনি। শোন যায় প্রাক্তন স্বামীর কারণেই নাকি সম্পর্কটি ভেঙে যায়। তারপরও দুজনের সম্পর্কের বিষয়ে কাউকেই কথা বলতে শোনা যায়নি।
তবে তাঁরা জুটি বেঁধে একটি সিনেমা করেছিলেন। ছবির নাম “মস্তান”। ছবিতে অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি কিন্তু তাদের ফাটিয়ে ছিল। এরপর যদিও স্বস্তিকার সঙ্গে অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় অনেকেরই নাম শোনা যায়। কিন্তু সবকটি শুধু কানাঘুষো খবর। আদৌ এগুলো সত্যি কিনা, সেটার কোনও প্রমাণ নেই।