প্রতি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ভাবি, যদি একদিন চোখ খুলে তোমায় আবার দেখি, বাবার জন্মদিনে আবেগঘন খোলা চিঠির স্বস্তিকার

১৩ জানুয়ারি, অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি তার প্রয়াত বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তার স্মৃতির কথা তুলে ধরেছেন। তার এই পোস্টে ছিল বাবার প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও শূন্যতার আক্ষেপ। স্বস্তিকা যেভাবে তার বাবার সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতি চারণ করেছেন, তা মুগ্ধ করেছে অনেক ভক্তকেই।

স্বস্তিকা তার পোস্টে বাবার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে সন্তু মুখোপাধ্যায় তাকে কোলে তুলে ধরেছেন। ওই ছবিটি প্রকাশিত হতেই তা চোখে পড়েছে অনেকেরই। ছবির সঙ্গে একটি আবেগপূর্ণ চিঠি লিখে স্বস্তিকা তার বাবার প্রতি অগাধ ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। তবে শুধু একা বাবা নয়, এই পোস্টের মধ্যে আরও কিছু ছিল, যা ছিল সত্যিই হৃদয়স্পর্শী।

স্বস্তিকা আরও জানিয়েছেন, প্রতি বছর বাবার জন্মদিনে তিনি তার পছন্দের গেরুয়া পাঞ্জাবি কিনতেন খাদি থেকে। সন্তু মুখোপাধ্যায়ের জন্য নতুন ফতুয়া ও লুঙ্গি ছিল খুবই প্রিয়। তবে তার এই বিশেষ দিনটির স্মৃতিতে তিনি এক বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। এমনকি বাবার পছন্দের মদ্যপানও তার মনে উঁকি দিয়েছে, যা সে এক সময়ে বাবার জন্য নিয়ে আসতেন।

মায়ের পর বাবার চলে যাওয়ার শূন্যতা স্বস্তিকাকে একাই হাঁটতে শিখিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তার জীবনে এখন আর সেই আনন্দ উৎসব নেই, যা একসময় ছিল। বিশেষ দিনগুলো, যেমন বাবার জন্মদিন, এখন শুধুই এক শূন্যতা বয়ে আনে। শূন্যতার মধ্যে লুকিয়ে থাকে অনেক স্মৃতি, যা সবসময় তাকে তাড়া করে। তবে, সত্যি কথা বলতে, এক বিশেষ আবেগ তার পোস্টে প্রকাশ পেয়েছে, যা পাঠকদের মনকে স্পর্শ করে।

আরও পড়ুনঃ অবশেষে মিলন হল দেবা-গৌরবের! দুই ভাইয়ের মিলন দেখে খুশিতে আত্মহারা আঁখি-ঝিলিক! কী চ্যালেঞ্জ আসতে চলেছে এবার দুই শালিকে?

স্বস্তিকা তার পোস্টে একটি সত্যি আবেগপূর্ণ ও মর্মস্পর্শী কথা লিখেছেন—”প্রতি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ভাবি, যদি একদিন চোখ খুলে তোমায় আবার দেখি।” এর মাধ্যমে তিনি শুধু তার বাবার প্রতি এক গভীর শূন্যতা অনুভব করেন না, বরং তিনি বিশ্বাস করেন, হয়তো কোথাও কেউ তাঁর মতো করে বাবাকে আগলে রেখেছে। তবে তার সবচেয়ে বড় বিশ্বাস এবং চমকপ্রদ দিক হলো, তিনি প্রতিদিন বাবার প্রিয় পারফিউম মেখে, তার বাবাকে অনুভব করার চেষ্টা করেন। এই মুহূর্তটি স্বস্তিকার জীবন এবং তার বাবার স্মৃতির মধ্যে এক বিশেষ সম্পর্কের প্রতিফলন।

স্বস্তিকার এই হৃদয়বিদারক চিঠি তার জীবনের একটি দুঃখভারী, তবে প্রেমময় অধ্যায়ের পরিচয় দেয়। ২০২০ সালে সন্তু মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর, আজও তার স্মৃতির আচ্ছন্নতা তাকে তাড়া করে।