“যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে কেন ওই ধরনের পোশাক পরব? অকারণে শরীর দেখাবে কেন?”— শ্বেতা ভট্টাচার্যের হাতকাটা পোশাক বিতর্কে এবার অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়ালেন মমতা শঙ্কর!

শিল্পী মানেই কি সব পোশাকে মানিয়ে নিতে হবে? চরিত্রের দাবি মানলে পোশাক পরিবর্তন স্বাভাবিক। কিন্তু শুধু মাত্র অকারণে শরীর প্রদর্শন করার প্রশ্ন উঠলেই বিতর্ক শুরু হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই বিতর্কে নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্যের। এক সাক্ষাৎকারে হাতকাটা ব্লাউজ পরতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেই বক্তব্যকে ঘিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল। তবে এবার তাঁর পাশে এসে দাঁড়ালেন অভিজ্ঞ অভিনেত্রী মমতাশঙ্কর।

শ্বেতার বক্তব্য ছিল যদি চরিত্রের স্বার্থে এমন পোশাক পরতে হয় তবে তিনি রাজি। কিন্তু যখন তা প্রয়োজনীয় নয়, তখন শুধুমাত্র ‘গ্ল্যামার’ বাড়ানোর জন্য শরীর দেখাতে চান না তিনি। কারণ, এমন পোশাকে তিনি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। স্বাভাবিকভাবেই অভিনয়ের সময় পোশাক নিয়ে যদি বারবার অস্বস্তি হয়, তাহলে কাজের উপর মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। শ্বেতার এই মন্তব্য থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

এবার সেই বিতর্কে মুখ খুললেন মমতাশঙ্কর। তাঁর মতে, শ্বেতা যা বলেছেন তা একেবারেই ভুল নয়। যদি কোনও শিল্পী পোশাকের কারণে অসুবিধায় পড়েন, তাহলে সেটা স্পষ্ট করে জানানোই উচিত। মমতা বলেন, “অকারণে শরীর দেখানো জরুরি নয়। যদি চরিত্রের স্বার্থে দরকার হয়, নিশ্চয়ই সে মানিয়ে নেবে। কিন্তু শুধুমাত্র অযথা চাপিয়ে দিলে কেনই বা মেনে নেবে!”

নিজের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে মমতাশঙ্কর জানান, ‘‘আমি মৃণাল সেনের মৃগয়া ছবিতে ব্লাউজ ছাড়া ছোট শাড়ি পরেছিলাম। কারণ, সাঁওতাল রমণীর চরিত্রে অভিনয় করছিলাম। সেখানে গল্পের খাতিরে সেই পোশাক দরকার ছিল। কিন্তু যখন ছবির কাহিনির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই, তখন কেন আমি শরীর প্রদর্শন করব?’’ অভিজ্ঞ অভিনেত্রীর এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কাহিনির দাবি থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুনঃ ডান্স বাংলা ডান্স ফাইনালে বিচার বিতর্ক! মূক-বধির প্রতিভা পূজা হালদার হলেন শুধু রানারআপ! দর্শকের দাবি, তাঁকে দেওয়া উচিত ছিল বিশেষ পুরস্কার! “স্পেশাল চাইল্ড হয়েও পুজা স্বাভাবিক প্রতিযোগীদের থেকে সেরা নেচেছে।” “প্রকৃত বিচার হয়নি, সত্যিকারের বিজয়ী পূজা হালদার!”— দর্শকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া!

শ্বেতার সঙ্গে দীর্ঘদিনের কাজের সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন মমতা। ২০১২ সাল থেকে তিনি শ্বেতাকে চেনেন, এবং তাঁর প্রতি গভীর স্নেহ রয়েছে বলেই দাবি করেন। মমতার মতে, শ্বেতা অকারণে কখনও কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন না। তাই পোশাক নিয়ে তাঁর আপত্তিকেও অন্য চোখে দেখা উচিত নয়। বরং শিল্পীর স্বাচ্ছন্দ্যের গুরুত্বকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বলছেন মমতার মতো অভিজ্ঞ অভিনেত্রীর পাশে পাওয়া শ্বেতার জন্য নিঃসন্দেহে বড় সমর্থন।