‘থাকে ডাঙায় কিন্তু গভীর জলের মাছ’, হঠাৎ দেবলীনার উদ্দেশে মন্তব্য তথাগতর, দূরত্ব আরও বাড়ল?

গত বছরের শেষের দিক করেই একটি খবরে কার্যত টলিপাড়ায় বেশ শোরগোল পড়ে যায়। আর তা হল অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত ও অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়ের সংসার ভাঙার খবর। জনপ্রিয় এই জুটির সম্পর্কে চিড় ধরার ঘটনা অনেকেই যেন বিশ্বাস করে উঠতে পারেন নি ঠিকমতো। তাদের ঘর আলাদা হলে, এখনও পর্যন্ত আইনিভাবে বিচ্চেদ হয়নি তথাগত-দেবলীনার।

শোনা যায়, দেবলীনা ও তথাগতর সম্পর্কের মাঝে আগমন ঘটে তৃতীয় ব্যক্তির। এই তৃতীয় ব্যক্তির নাম হিসেবে বারবার বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসে। শোনা যায়, তথাগত বিবৃতির প্রেমে পড়েছেন, আর সেই কারণে তাঁর দূরত্ব বেড়েছে দেবলীনার সঙ্গে।

সম্প্রতিই ছিল দেবলীনার জন্মদিন। এদিন তাঁর উদ্দেশে বেশ আদুরে মাখা একটি পোস্ট করেছিলেন তথাগত। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সম্পর্কে ফাটল ধরলেও, তারা একে অপরের এখনও ভালো বন্ধু। কিন্তু এরপরই কাহিনীতে এল টুইস্ট। হঠাৎই যেন উলাটপুরাণ।

আচমকাই দেবলীনার উদ্দেশে তথাগত বললেন, “থাকে ডাঙায় কিন্তু গভীর জলের মাছ”।
নিজের নতুন ছবি ‘ভটভটি’ নিয়ে মাঝেমধ্যেই নানান পোস্ট শেয়ার করে থাকেন তথাগত। এই ছবিতেই অভিনয় করেছেন বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় ও ঋষভ বসু। শোনা যায়, এই ছবি করতে গিয়েই নাকি সম্পর্কে জড়ান বিবৃতি ও তথাগত।

গল্পে ভটভটি প্রেমের কাহিনী লেখা হয়েছে জলপরীর সঙ্গে যার রাজত্ব জাহাজবস্তিতে। সেইখানে জাহাজ বানানো হয়নি কোনও দিন, কেউ জাহাজে চাকরিও করেনা। কিন্তু তাহলে এমন নামকরণ কেন, সেই উত্তর জানা নেই। এই ছবিতে জাহাজবস্তির ছেলেটার স্বপ্নপুরী ও বাস্তবের প্রতিচ্ছবিই আঁকতে চেয়েছেন পরিচালক তথাগত।
এই ছবিতে বিবৃতি ও ঋষভের লুক নিয়ে সকলেই বেশ প্রশংসা করেছেন।

আর এই লুকের পিছনে যে বেশ পরিশ্রমও রয়েছে, তাও জানালেন তথাগত। তিনি ঋষভ ও বিবৃতির ছবি দিয়ে লেখেন, “জলের তলায় ভটভটির পৃথিবীটা খানিকটা এরকম আর এরিয়েলরা ডাঙায় এলে খানিকটা এরকম দেখতে লাগে।

ভটভটির এই জলের নিচের পৃথিবী তৈরি করেছে রজত দুলুই আর রাতুল বোধক আর ডাঙার মাছের এই লুক ডিজাইনের দুই কারিগর দেবলীনা দত্ত আর পৌলমী গুপ্ত এরা সবাই থাকে ডাঙায় কিন্তু গভীর জলের মাছ”।

নিজের এই পোস্ট দ্বারা আসলে দেবলীনাকে ধন্যবাদ জানাতেই চাইলেন অভিনেতা। বলে রাখি, তথাগতর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেতা সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেবলীনার সম্পর্কের গুঞ্জন রটেছে।