গামছা মাথায় ‘জগুদাদা’র স্নানে ব্যস্ত গায়িকা! লিলুয়ার বাড়িতেই শুরু হল রথযাত্রার প্রস্তুতি, স্নানযাত্রার দিন কোন কোন আচার মেনে চলেন ইমন চক্রবর্তী?

সঙ্গীত জগতে তাঁর অবদান যেমন অনস্বীকার্য, তেমনই ব্যক্তিগত জীবনেও এক গভীর আধ্যাত্মিক বিশ্বাসে বাঁধা তিনি। শুধু সুরের সাধনাই নয়, ঈশ্বরভক্তিতেও বিশেষ স্থান রয়েছে এই গায়িকার জীবনে। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গায়িকা ‘ইমন চক্রবর্তী’ (Iman Chakraborty) কে নিয়ে। তিনি বিশ্বাস করেন, জীবনের প্রতিটি বাঁকে কোনও অলৌকিক শক্তির আশীর্বাদ পাশে থেকেছে। সেই বিশ্বাস থেকেই প্রতি বছর বড় করে পালন করেন রথযাত্রার (Rath Yatra 2025) উৎসব।

এই বছরও তার অন্যথা হয়নি। আজ, ১১ জুন, জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষে লিলুয়ার বাড়িতে ফের শুরু হল রথযাত্রার প্রস্তুতি। সকাল থেকেই পূজার তোড়জোড়ে ব্যস্ত গায়িকা। ঘি, চন্দন, মধু, দুধ, ডাবের জল ও গঙ্গার জল দিয়ে স্নান করানো হল তিন ভাইবোন—জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। নতুন জামাকাপড়ে সাজিয়ে তোলা হল তাঁদের। সাধ্যমতো ভোগ নিবেদন করে পরিবারের সকলের সঙ্গে সেই প্রসাদই ভাগ করে নিলেন তিনি।

ইমনের কথায়, এই আচার যেন তাঁর জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। গায়িকা জানালেন, ২০১৪ সাল থেকে তিনি জগন্নাথদেবের আশ্রয়ে রয়েছেন। মায়ের মৃত্যুর পর যে অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, ঈশ্বরের ছায়াই সেই যন্ত্রণা সামলাতে সহায়তা করেছে বলে মনে করেন তিনি। একাধারে আট-নয় বছর ধরে রথযাত্রার উৎসব পালন করছেন, আর এই আচার তাঁর কাছে শুধুই ধর্মীয় উৎসব নয়, একান্ত অনুভবের বিষয়।

ইমন বললেন, স্নানযাত্রার দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় রথের মূল প্রস্তুতি। সেইমতো এ দিনই ভগবানের গলায় পড়ে রজনীগন্ধার মালা, আর মাথায় গামছা বেঁধে নিজের হাতে পুজোর দায়িত্ব নেন ইমন। আজ থেকে উল্টোরথ পর্যন্ত প্রতিদিনই সমারোহে পুজো হয় গায়িকার বাড়িতে।সারা বছরের নানা ব্যস্ততার মাঝে এই কয়েকটি দিন যেন একান্ত নিজের মতো করে ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পণের সময়।

আরও পড়ুনঃ ‘আমার একটা সমস্যা আছে!” এই সমস্যার জন্য‌ই মুখ্য চরিত্র পাচ্ছেন না রুকমা রায়! নিজেই জানালেন অভিনেত্রী 

যদিও গত বছর রথযাত্রার সময়ে তিনি ছিলেন বিদেশে, তবু আমেরিকার মাটিতে বসেই পালন করেছিলেন ‘জগুদাদা’র (জগন্নাথ দেবের) আরাধনা। এ বার আবার নিজের দেশে, নিজের ঘরে সেই ভক্তির আবহে মেতে উঠলেন গায়িকা ইমন। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করলেন পুজোর মুহূর্তগুলিও। তিনি জানালেন, তাঁর প্রার্থনা একটাই, ভগবান যেন সকলের উপর আশীর্বাদের হাত রাখেন, সুখ ও শান্তি এনে দেন এই জগতে।