“কাউকে বিরক্ত করল না, , টা-টা করে চলে গেল!” আপনজনকে হারিয়ে শোকে কাতর কিংবদন্তি টলি অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী!

‘মা হারালে মা পাওয়া যায় রে, বউ হারালে বউ পাওয়া যায় না’ এক সময় বাংলা চিনে জগতের ভাইরাল হওয়া এই ডায়লগ আজও ঘোরে বহু বাঙালির মুখে মুখে। এই ডায়ালগের জিনি স্রষ্টা আজ তাঁর মন বড়োই ভারাক্রান্ত। কথা হচ্ছে কিংবদন্তি অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।

বর্তমানে এই অভিনেতাকে আর সেই অর্থে রূপলি পর্দায় অভিনয় করতে দেখা না গেলেও কোন কোন সময় বিভিন্ন ওয়েব সিরিজে তাঁর অভিনয় দেখার সৌভাগ্য হয় দর্শকদের। তবে এই মুহূর্তে অভিনেতা হারিয়েছেন তার পরম আত্মীয়কে। চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর ভাই অমিতাভ চক্রবর্তী পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে।

শোকে ভারাক্রান্ত অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “কত স্মৃতি ওর সঙ্গে। ছোটবেলায় অমিতাভকে কোলে নিয়ে কত ঘুরেছি। সেই ভাইয়ের শ্মশানযাত্রা দেখতে হল! মানতে পারছি না।” প্রসঙ্গত অভিনেতা শহরের এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানান, দিন তিনেক আগে তাঁর ভাই হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। অমিতাভর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

ভাইয়ের এই অকাল মৃত্যুকে ঘিরে অভিনেতা জানিয়েছেন, আপাতদৃষ্টিতে অমিতাভর শারীরিক তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। তবে মাঝে সামান্য বুকে ব্যথা করায় ইসিজি করিয়েছিলেন ভাইয়ের কিন্তু কোনো রোগ ধরা পড়েনি তাঁর। যদিও সাবধানতার জন্য চিকিৎসক তাঁকে ইকো কার্ডিওগ্রাম করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন কিন্তু তা করায়নি অমিতাভ।

জানা যাচ্ছে অমিতাভ মারা যাওয়ার দিন সকাল বেলা থেকে তাঁর শরীর বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু, ওই যে ভগবানের ডাক ফেরাতে পারেন না কেউই। তাই, পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন অমিতাভ চক্রবর্তী। এদিকে ভাইয়ের শোকে কাতর হয়ে অভিনেতা জানিয়েছেন, “কাউকে বিরক্ত করল না। নিজেও ভুগল না। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু। অমিতাভের মতো মৃত্যু অনেকের কাছেই হয়তো কাম্য। যেন মনে হল, টা-টা করে চলে গেল!”

আরও পড়ুনঃ ১০৩ জ্বর, প্রবল কাঁপুনি… মাঝরাতে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি! আচমকাই হাসপাতালে ভর্তি জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত !

প্রসঙ্গত বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শৈল চক্রবর্তীর সাধ সন্তানদের মধ্যে হলেন চিরঞ্জিত এবং অমিতাভ। পারিবারিক জীবন নিয়ে চিরঞ্জিত জানান, “বড়দার পরে চার বোন। তার পর আমি, আমার ভাই। গোলপার্কে আমাদের বাড়ি রয়েছে। সেখানে এক দিদির সঙ্গে অমিতাভ থাকত। নিয়মিত কথা হত আমাদের।”