“আপনার মতো নিম্নরুচির লোক আর দেখিনি!” “সেক্যুলারিজমকে হাতিয়ার করে কেরিয়ার পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা!” — ঋত্বিক চক্রবর্তীর ‘ময়ূররঞ্জন’ পোস্ট ঘিরে উত্তাল সমাজ মাধ্যম!

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে (Kashmir Pahalgam Bloodshed) মুসলিম আততায়ী দ্বারা হিন্দুদের রীতিমতো চিহ্নিত করে হ’ত্যা করা হয়েছে। এরপরে রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক ‘ময়ূখরঞ্জন ঘোষ’ (Mayukh Ranjan Ghosh) মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করলে, অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty) তাঁকে কটাক্ষ করেন। সম্প্রতি তারই ফেসবুকের একটি পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোচনায় রয়েছেন। গতকাল দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে ঋত্বিক একটি পোস্ট লেখেন।

যেখানে মজার ছলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “ধরুন একটা গাধার নাম দিলেন ময়ূর আর তাকে কালারফুল করতে পাশে বসালেন রঞ্জন, তাহলে পুরোটা হলো ‘ময়ূররঞ্জন’।” যদিও এটি ছিল একটি হাস্যকর মন্তব্য, কিন্তু এতে যে বহুল আলোচিত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষকে উদ্দেশ্য করে একটি পরোক্ষ টিপ্পনী ছিল, তা অনেকেই ধরে নিয়েছেন। এবার ঋত্বিকের এই পোস্টের পর যেন সমাজমাধ্যমে আগুন জ্বলে ওঠে। ঋত্বিকের হঠাৎ করে সেক্যুলারিজম এর প্রতি এত টান দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অনুরাগী তথা সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ লিখেছেন– “ঘটনাটা যদি আপনার সাথে হতো তাহলে কি বলতেন?”

আবার অনেকে বলেছেন, “ধরুন আজ যদি হিন্দুদের জায়গায় একটা মুসলিম মারা যেত তাহলে দেশজুড়ে হাজারো হিন্দুদের বাড়ি জ্বলতো, আর তখন কি বলতেন?” আরেকজন বলেছেন, “আপনার মতো নিম্নরুচির লোক আর একটাও নেই। জঘন্যতম ব্যক্তি আপনি।” অন্যজন বলেন, “নিজেরা তো শাসক দলের বিরুদ্ধে বলতে ভয় পান কাজ হারানোর ভয় e….কে বিয়ে করলো তাকে ট্রোল করতে ব্যস্ত থাকেন..এত বড় ঘটনা ঘটে গেলো আপনাদেরকে তো কিছু পোষ্ট করতে দেখলাম না…তাই অন্য কে খিল্লি না করে নিজেরা কি সেটা একটু দেখুন…” এদিকে, ঋত্বিকের পোস্টের পর ময়ূখ রঞ্জন ঘোষও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

যদিও তিনি ঋত্বিকের নাম উল্লেখ করেননি, তবে তার পোস্টে কিছুটা ইঙ্গিত স্পষ্ট। ময়ূখ বলেন, “ঘরে বসে থাকা এক অভিনেতার ফ্লপ কেরিয়ারকে পুনর্জীবিত করলাম।” এটি এমন এক মন্তব্য ছিল, যা বেশ কিছু লোকের মনে ঋত্বিক চক্রবর্তীকে লক্ষ্য করেই করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। ময়ূখ আরও বলেন, “নিজের সিনেমার প্রমোশন ভিডিও, কনটেন্ট বা ইন্টারভিউ পোস্ট করলেও এত লাইক কমেন্ট পায় না, যতটা আজ পেয়েছে। শুনছি, আর চাকরি চুরির টাকায় বানানো সিনেমায় অভিনয় করতে হবে না।

আমাকে নিয়ে লিখে টু পাইস লাভ যদি কারোর হয়, আমি তার পাশে দাঁড়াতে রাজি আছি। বড় ভালো লাগল। তার কেরিয়ার ঘুরে দাঁড়াক!” এই মন্তব্যে স্পষ্টভাবে প্রকাশ হয়েছে, যে তিনি ঋত্বিকের পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঋত্বিকের সেক্যুলারিজম নিয়ে পোস্টটি যে তুমুল আলোচনা সৃষ্টি করেছে, তা কোনোভাবে অবাক করার মতো নয়। আজকাল টলিউডের অনেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে পিছপা হন। আর এই নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই।

আরও পড়ুনঃ এক সময়ে টলিউডের সেরা খলনায়ক তিনি! ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ খ্যাত অভিনেতা রমেন রায় চৌধুরী কাজ করে গেছেন মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত! জানেন কি কারণে মৃত্যু হয় তাঁর?

কিন্তু ঋত্বিকের এই নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সেক্যুলারিজমের পক্ষ নিয়ে এক পা পিছিয়ে যাওয়ার আচরণ অনেককে কটাক্ষ করতে উসকানি দিয়েছে। তাঁর অনুরাগীরা একে ‘দ্বৈত মানদণ্ড’ হিসেবে দেখছেন এবং প্রশ্ন তুলছেন, “ঋত্বিক কেন এই পরিস্থিতিতে সেক্যুলারিজমের দিকে এতটা ঝুঁকেছেন?” সামাজিক মাধ্যমে ঋত্বিকের পোস্ট নিয়ে এত আলোচনা হওয়ার পর, অনেকেই মনে করছেন যে তিনি আসলে একে অন্যকে ট্রোল করার মাধ্যমে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।