কথায় আছে, ‘ভাগ্যের চাকা ঘুরছে!’ অর্থাৎ মানুষের দুঃখ-কষ্টই বলুক বা আনন্দই বলুক সারাজীবন একই থাকে না। কখন মানুষের জীবনে কী পরিস্থিতি তৈরী হয় তা কেউ বলতে পারে না। তবে, এ কথা ঠিক ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে’ খানিক এমন ঘটনাই ঘটেছে অভিনেতা সায়কের (Sayak Chakraborty) জীবনে।
বাংলা টেলিভিশন জগতের অত্যন্ত পরিচিত মুখ সায়ক চক্রবর্তী। টলিউডের ছোটো পর্দার পার্শ্বচরিত্রতে আকচারই দেখা যায় এই অভিনেতাকে। আজ সায়ক কেবল অভিনেতাই নয় একজন সফল ফেসবুক ভ্লগারও বটে।
অভিনেতার ফেসবুক ভ্লগের মাধ্যমে তাঁর রোজনামচার জীবনের খুঁটিনাটি বিষয়ে জানতে পারা যায়। তবে, আজকের এই সফল ব্যক্তির একটা সময় ছিল নিদারুণ কষ্টের। অভিনেতা তাঁর পরিবারকে নিয়ে এক সময় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। আর আজ তাঁর রয়েছে নিজস্ব ফ্ল্যাট, গাড়ি। এমনকি, তিনি নাকি তৈরী করতে চলেছেন তাঁর স্বপ্নের বাড়ি। অভিনেতার সাফল্যের পিছনে রয়েছে অনেক পরিশ্রম।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, “আমি অভিনয় জগতে সবে সবে আসার পরিকল্পনা করেছি ৷ তখন আমাদের সংসার চালাত আমার এক মাসি ৷ তারপর আমার দাদাই প্রথমে চাকরি থেকে আমাদের কিছু টাকা পাঠাতো ৷ সেভাবেই চলছিল ৷ আমরা তখন এখানে ভাড়া বাড়িতে থাকতাম অ্যাসবেস্টসের ঘরে ৷ সেখান থেকে এখন নিজের বাড়িতে থাকি ৷ তখন থেকে তো লাইফ কিছুটা পাল্টে গিয়েছে ৷ তবে আমরা পাল্টে যাইনি ৷ অনেক সময় মানুষ বদলে যায় ৷ বিভিন্ন কিছু লাইফে চেঞ্জ এলে তবে আমাদের বন্ডিংটা খুব ভালোভাবে রয়ে গিয়েছে”৷
আরও পড়ুনঃ ধীরে ধীরে শুভর কথা মনে পড়ছে আদৃতের! অন্যদিকে মিস্টার সেনের বিয়ের প্রস্তাবে হ্যাঁ শুভর! রায় বাড়িতে আদৃতের গৃহ প্রবেশ
সায়ক আরও বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়াতে আমি ২০১৪ থেকেই আছি ৷ ইনস্টাগ্রাম যবে থেকে লঞ্চ হয়েছে তার কিছুদিন পর থেকেই আমি ইনস্টা করতে শুরু করেছি ৷ কিন্তু লকডাউনের পরে কী করবো বাড়িতে বসে কিছু নেই ৷ সোশাল মিডিয়েতে দেখছি ডালগোনা কফি বানাচ্ছে লোকজন আমিও দেখে শুরু করলাম বানানো ৷ সেখান থেকেই জার্নি শুরু ৷ আমি দেখলাম আমার কথা মানুষ পছন্দ করতে শুরু করলো ৷ তারপর কয়েটা ভিডিয়োতে দেখলাম ভালো ভিউ ও ভালো ভালো কমেন্ট পাচ্ছিলাম ৷ তারপর একটার পর একটা ভিডিয়ো করতে শুরু করি ৷ তখন বেশি ইউটিউবে করতাম ফেসবুকে নয় ৷ ফেসবুকে ভ্লগ করা শুরু করি অনেক পরে ৷ আজ থেকে দুই বছর আগে থেকে ভ্লগ দেওয়া শুরু করি ফেসবুকে ৷ তারআগে ইউটিউবে খুব ভালো সাড়া পেয়েছি”।