আজ তিনি টলিউডের এক সুপরিচিত অভিনেত্রী। বাংলার ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় সমানভাবে বিচরণ রয়েছে তাঁর। কথা আছে অভিনেত্রী মানালি দে’র, যাকে বাংলার দর্শকেরা এক ডাকে মৌরী নামে চেনে। এই অভিনেত্রী ছোট পর্দা এবং বড় পর্দা তো অবশ্যই এমনকি, ওয়েব সিরিজেও তাকে দেখা গেছে।
তবে, আজ এই মানালির অভিনেত্রী হওয়া হয়ে ওঠার পিছনে রয়েছে অনেকের অবদান। আর, সেই কষ্টের দিনগুলোর কথাই দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর মঞ্চে তুলে ধরল অভিনেত্রী। হ্যাপি ফাদার্স ডে’-এর জন্য ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর বিশেষ পর্বে মনের কথা খুলে বলল মানালি।
ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করে অভিনেত্রী জানান, বাবা তার নিজের ইচ্ছাকে জলাঞ্জলি দিয়ে সবটুকু দিয়ে মানালিকে বড় করে তুলেছেন। অভিনেত্রীর বাবার ছোটবেলা থেকেই পোলিও রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে তিনি তবলা বাজানোকেই পেশা হিসেবে জীবনে গ্রহণ করেছিলেন। এই তবলা বাজিয়েই মেয়েকে মানুষ করা থেকে সংসারের দায়িত্ব পালন করেছেন অভিনেত্রী বাবা।
মানালি আরো জানান, বাবার কম রোজকারের কারণে অনেক সময় স্কুলের ফী দিতে দেরি হত। সেই সময় অভিনেত্রীদের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে অন্নপ্রাশনের সোনার গয়না বেঁচে স্কুলের ফী জমা দিতে হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ “সব ছেড়ে দিলে, মানুষ জানবেই বা কী করে আমি এখনও আছি না নেই!”— সকল প্রবীণরা যখন ধারাবাহিক ছাড়ছেন, তখনও পেশাদারিত্বে অনড় সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়! এই বয়সেও থামতে নারাজ বর্ষীয়ান শিল্পী!
তবে এখন সেই কষ্টের দিন ঘুচেছে। আজ যোগ্য মেয়ের মতো বাবার পাশে লাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে মানালি। বাবার সব সময় নিজেই খেয়াল রাখার চেষ্টা করেন অভিনেত্রী। তাছাড়াও, বাবাকে দেখাশোনা করার জন্য চব্বিশ ঘন্টার জন্য লোকও রেখেছেন অভিনেত্রী।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।