সমাজে ভালো মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমছে! আমি গর্ব করে বলতে পারি আমার ছেলেকে একজন ভালো মানুষ তৈরি করতে পেরেছি! নিজের মাতৃত্ব নিয়ে অকপট অভিনেত্রী পায়েল দে

‘বেহুলা’, একসময়ের টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় সিরিয়ালের মধ্যে অন্যতম ছিল এটি। পৌরাণিক কাহিনীর এই বিশেষ গল্পে নায়িকা রূপে দর্শকদের মন কেড়েছিল যে অভিনেত্রী, তিনি হলেন পায়েল দে (Payel De)। সেই সময় থেকে আজকের সময়, মাঝে অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও এই অভিনেত্রীকে এখনও অনেক দর্শকেরা তাঁকে সেই বেহুলা রূপেই মনে রেখেছে।

কিন্তু, অভিনেত্রীর বেহুলা রূপ ছাড়াও আরও অনেক পৌরাণিক চরিত্রে দর্শকেরা তাঁকে দেখেছে বলে বাকি নায়িকাদের থেকে কিছুটা আলাদাই রাখেন পায়েলকে। বর্তমানে অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে সান বাংলার ‘কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে’ ধারাবাহিকে।

Daipayan Das

তবে, কর্মজীবনে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি অভিনেত্রী ঘরোতর সংসারীও বটে। শত কর্ম ব্যস্ততার মাঝে সন্তানকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিনেত্রী। তাঁর একমাত্র উদেশ্য, ছেলেকে মানুষের মতন মানুষ তৈরী করা। আর একটু একটু করে সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী।

পায়েল এবং দ্বৈপায়নের একমাত্র পুত্র সন্তান আর দিন কয়েক পরেই পা দেবে ৬ বছরে। তবে দৈনন্দিন জীবনে নানা ব্যস্ততার মধ্যেও ছোট্ট ছোট্ট পায়ে তাঁর ছেলে যে কীভাবে বড় হয়ে গেল তা নিয়ে ভাবলেও অবাক হন অভিনেত্রী।

নিজের মাতৃত্ব নিয়ে অভিনেত্রী শহরের এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, “ওর জন্ম সকালে হলেও, আমি বিকেলের পর কোলে পেয়েছি। তখনও ঘোর কাটেনি। স্যালাইন চলছে। হঠাৎ দেখি জোরদার ঘর পরিষ্কার চলছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন গো এসব করছো? নার্স দিদি বললেন, এক রাজপুত্তুর আসছে। দেখলাম মেরাককে ফিডিংয়ের জন্য তোয়ালে মুড়ে নিয়ে এল। সেই প্রথম স্পর্শ পেলাম ওর। যে অনুভূতি ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়। অদ্ভুত একটা কানেকশন”। পায়েলের একটাই স্বপ্ন, সে যেন সবার আগে মানুষের মতন মানুষ হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুনঃ কর্তা দাদুর বিরুদ্ধে কথা! এভি’র হাত ধরে কথার স্বপ্নপূরণ! আগামী দিনে ধারাবাহিকে আসছে বিরাট চমক, জানিয়ে দিলেন নায়িকা

মেরাক কি অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেবে? এই প্রশ্ন অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, “আমি কোনও স্বপ্ন দেখি না। শুধু মনেপ্রাণে চাই ও ভালো মানুষ হোক। পৃথিবীতে ভালো মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ও যে পেশায় যেতে চায় যাক। কখনও বাধা দেব না। শুধু বাবা-মা হিসেবে যেন দিনের শেষে গর্ব করে বলতে পারি, ওকে সঠিক শিক্ষা দিতে পেরেছি”।