“বাবা এখনও বটগাছের ছায়ার মতো আগলে রেখেছে”— প্রতি দিনই ফাদার্স ডে, বাবার প্রশংসায় পঞ্চমুখ টলি অভিনেত্রীরা! ‘সুপারম্যান’ বাবার কথা বলতে গিয়ে আবেগে ভাসলেন মানালি ও শ্বেতা!

গতকাল ছিল ‘আন্তর্জাতিক পিতৃ দিবস’ (International Father’s Day)। এক দিনেই যেন থেমে নেই বাবার অবদান, কিন্তু এই বিশেষ দিনটায় তাঁদের উদ্দেশে ভালবাসা জানানো হয়ে থাকে একটু অন্যভাবে। বাবারা অনেকেই মায়ের ছায়া হয়ে ওঠেন, হয়ে ওঠেন সন্তানের ভরসার পাহাড়। তাই এই দিনটি ঘিরে আবেগে ভাসলেন টলিপাড়ার দুই অভিনেত্রী ‘মানালি দে’ (Manali Dey) ও ‘শ্বেতা ভট্টাচার্য’ (Shweta Bhattacharya) । তাঁদের জীবনে বাবার উপস্থিতি কতটা গভীর, কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাই উঠে এল তাঁদের অকপট স্বীকারোক্তিতে।

অভিনেত্রী মানালি দে-র কাছে পিতৃ দিবস মানেই এক গভীর আবেগের নাম। ছোটবেলায় মাকে হারিয়ে বাবাকেই ভরসার আশ্রয় হিসেবে পেয়েছেন অভিনেত্রী। তাই পিতৃ দিবস আলাদা করে পালন করেন না তিনি। তাঁর প্রতিটি দিনই বাবার জন্য। মানালির কথায়, “ছোটবেলায় বাবাকে ভয় পেতাম, তবে আদরে কোনওদিন ঘাটতি ছিল না। কখনও গায়ে হাত তোলেননি, বরং একবার বকলেই আমি চুপ করে যেতাম। এখন উল্টো আমিই বকা দিই, বাবা যেন ছোট বাচ্চা হয়ে গিয়েছে। সবকিছু বাবাকেই আগে বলি আমি।”

মা না থাকলেও, মানালির জীবনে সেই অভাবটা কোনওদিন স্পর্শ করতে পারেনি। কারণ তাঁর বাবা চুপচাপ ছায়ার মতো আগলে রেখেছেন তাঁকে। অন্যদিকে, অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্যের জীবনে তাঁর বাবা যেন এক পরিশ্রমী যোদ্ধা। ছোটবেলায় অভাবের সংসারে বাবার অক্লান্ত সংগ্রামের সাক্ষী তিনি। সেই কারণে আজ শ্বেতা যখন প্রতিষ্ঠিত, তখন নিজের সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে দেন বাবার জন্য। বিয়ের কার্ডেও বাবা-মার ছবি ছিল অভিনেত্রীর, যা নিঃসন্দেহে তাঁর পারিবারিক মূল্যবোধের প্রমাণ।

শ্বেতার কথায়, “বাবাকে ছোটবেলায় অনেক কষ্ট করতে দেখেছি, তখন কিছুই করতে পারিনি। কিন্তু বড় হয়ে ওনাকে যেন একটু হলেও স্বস্তি দিতে পেরেছি। বাবা এখনও আমাদের মাথার উপর বটগাছ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।” এই দুই অভিনেত্রীর জীবনে বাবারা শুধু অভিভাবক নন, জীবনের প্রকৃত নায়ক। কঠোর বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাঁরা সন্তানদের এগিয়ে যেতে দিয়েছেন, ছায়ার মতো সঙ্গ দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ রায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেও বিপদ কাটছে না শুভ’র! জীবনে চলার পথে গোপালই এখন শুভ’র সঙ্গী! এদিকে, মোহনা যা বলেছে তা আদৌ সত্যি কিনা ভাবছে শুভ? তবে, কী শুভ বের করতে পারবে কী মোহনার আসল রূপ? 

মানালি বা শ্বেতা—দুজনেই যেন এই প্রজন্মের সেই কন্যারা, যাঁদের চোখে বাবা মানে আশ্রয়, সাহস আর নিঃশব্দে চলা এক ভালোবাসার যাত্রা। পিতৃ দিবসের মতো দিনগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাবা মানে শুধু রুটি রোজগারের মানুষ নন। তিনি এক নীরব কান্ডারী, যিনি সন্তানের জীবনের প্রতিটি ঝর নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেন। এবং এই বাস্তবের টলিপাড়ার দুই কন্যার জীবনের গল্পই তার অনন্য উদাহরণ।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।