ধর্মের কল বাতাসে নড়ে! চাঁদুর জারিজুড়ি শেষ, মুখার্জি বাড়িতে হাজির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী-মেয়ে! এবার, কি চাঁদুর সত্যিটা সকলের সামনে আনতে পারবে কমলিনী?

দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এবং মেয়ে হাজির হল মুখার্জি বাড়িতে। স্টার জলসা চিরসখা ধারাবাহিক আজকের পর্বে দেখা যাবে, বাড়িতে চাঁদু এবং তাঁর অস্বাভাবিক ব্যবহার নিয়ে মুখার্জি বাড়ির কিছু সদস্যদের সন্দেহ দিনে দিনে তীব্র হয়ে উঠছে, যা নিয়ে সকলের সঙ্গেই আলোচনা হচ্ছে। এদিকে এমন অসহায় পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বের করে আনতে স্বতন্ত্রের কাছে সাহায্য চাইছে চাঁদু।

কিন্তু, এমন অবস্থায় স্বতন্ত্র স্পষ্টভাবে তার বন্ধুকে বলে দেয় সে কোনমতেই তাকে সাহায্য করতে পারবে না। এরপর, বাড়িতে হঠাৎ আগমন হয় দুই অজানা নারীর। এরপর, কুর্চি দরজা খুলতেই এক মহিলা চন্দ্র আছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করে? এই শুনে কুর্চি তাঁকে ভিতরে আসতে বলে। এরপর, তাঁরা বাড়িতে আসা মাত্রই চাঁদুর দ্বিতীয় পক্ষের মেয়ে তাকে জড়িয়ে বাপি বাপি বলে ডাকতে থাকে।

Anashua Majumdar

এদিকে, চাঁদুও তাঁদের দেখে অবাক। এমন সময়, কমোলিনী বলে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। কমোলিনী বাড়ির সকলকে জিজ্ঞাসা করে, এখনও তাঁরা তাঁকে এই প্রতারক ব্যক্তিটার সঙ্গে থাকতে বলবে? এরপর, চাঁদু হঠাৎ বলে সে তাঁদেরকে চিনতে পারছে না। এমনকি চাঁদু নীরবিধায় সকলের সামনে নাটক করতে থাকে।

কিন্তু, সেই দুই অপরিচিত মহিলা এই বাড়িতে এসে এমনভাবে কথা বলে যেনো এরা হচ্ছেন চাঁদুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এবং মেয়ে। এরপর, চাঁদু সকলের সামনে নানান উল্টোপাল্টা কথার ভঙ্গিতে নাটক করতে থাকে। এরপর, নানান কথার ইশারায় চাঁদুর তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে বোঝাতে থাকে সে পরে তার সঙ্গে কথা বলে নেবে।

এমন সময়, বাড়ির বাকি সদস্যরা সেই অপরিচিত মহিলাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে কিন্তু সে কখনোই সঠিক উত্তর দিতে পারে না। এমন সময়, কমলিনী হঠাৎ সেই মহিলার নাম জিজ্ঞাসা করে। সেই মহিলা তার নাম বলে সোহিনী, যে নাম চিঠিতে ছিল সেই নাম। এরপর, কমলিনী সেই চিঠিটা আনতেই যায় যেটা ২০ বছর আগে সোহিনী চাঁদুর উদ্দেশ্যে লিখেছিল।

এরই মাঝে, চাঁদু ইশারাই তাঁর দিকে পক্ষের স্ত্রীকে বোঝাতে থাকে যে সে এই বাড়িতে নিজের অধিকার বুঝে নিতে এসেছে কারণ সে অনেক ঋণে জর্জরিত হয়ে রয়েছে। সেই ঋণ মেটানোর জন্যই অভিনয় করে যেতে হচ্ছে এই বাড়িতে। এরপর সেই অপরিচিত মহিলা কমলিনীর চিঠি দেখে বলে তিনি এটা লেখেননি। কিন্তু, তবুও মনের সন্দেহ কাটাতে কমলিনী তাঁর হাতের লেখা দেখতে চায়।

আরও পড়ুনঃ “সম্পর্কের ট্যাগলাইন দিতে আমার ভালো লাগে না”, “কমিটমেন্টে বিশ্বাস করি না”— অঙ্কিতা চক্রবর্তীর ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর মন্তব্য ঘিরে তুলকালাম! বিবাহিত হয়েও দিলেন ‘ওপেন রিলেশনশিপে’র বাণী? সমাজ মাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়!

কমলিনীর এক কথায় সেই মহিলা রাজি হয়ে যায় নিজের হাতের লেখা দেখাবে বলে। এমন সময় মিঠি চাদর দ্বিতীয় পক্ষের মেয়েকে প্রশ্ন করতে থাকে সেই কেন তার বাবাকে বাপি বলে ডাকছে? এই শুনে সোহিনী আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নানা ধরনের উল্টোপাল্টা কথা বলতে থাকে, যা কিছুই বুঝতে পারে না সেই মেয়েটা।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।