‘প্রেমে পড়া বারণ’ এই গানটা শুনলে যেমন মন ভরে যায় বিরহে আবার তেমনই ‘তোমার চোখের শীতলপাটি দাও ভিজিয়ে সই’ এই গানটা শুনলে যেনো এক স্নিগ্ধ শান্ত বাতাসের ছোঁয়া লাগে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সংগীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তী (Lagnajita Chakraborty) হলেন টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত পরিচিত মুখ। বিনোদন জগতের এই গায়িকা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মনোরঞ্জন করে ফেলেছে বাংলার দর্শকদের।
বর্তমানে এই গায়িকার এক সাক্ষাৎকার বেশ ভাইরাল হয়েছে নেট পাড়ায়। স্বভাবে গায়িকা লগ্নজিতা স্পষ্টবাদী এবং সোজাসাপটা কথা বলতে ভালোবাসেন। এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য গায়িকা আবার সমালোচিতও হয়েছে নেট দুনিয়ায়। সাক্ষাৎকারের প্রথমেই নিজস্ব নিয়ে বলতে গিয়ে গায়িকা বলেন, “নিজের শো করতে সত্যি আর টেনশন হয় না। কারণ ১০ বছর ধরে তো এটাই করছি। দশ বছর ধরে নতুন করে আর রোজ কি টেনশন করব?”
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সলিল চৌধুরীর কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে লগ্নজিতা বলেন, সবাইকে কী শিখতে চাই তো তা জানি না তবে তিনি একটু তাঁর থেকে মেরুদন্ড ধার করতেন। অর্থাৎ, নিজের মেরুদন্ড সোজা রেখে নিজেকে কীভাবে বড়ো করে তুলতে হয় তা শিখতেন সলিল বাবুর থেকে।
অন্যদিকে আবার, গত বছর ঘটে যাওয়া আরজিকর কাণ্ড নিয়ে গায়িকাকে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলেন, ” তিলোত্তমার বিচার আমি এখনো চাই সে, যে সরকারই আসুক আর যে সরকারই যাক তাতে আমার কিছু এসে যায় না। তাই তিলোত্তমার বিচার আমার চাই”। অর্থাৎ তিনি এখনও আশায় রয়েছেন এ শহরের তিলোত্তমা বিচার পাবে।
আরও পড়ুনঃ বড় পর্দার পর ফের বেছে নিলেন ছোট পর্দাকে! বহুদিন পর ছোট পর্দায় ফিরছেন ইধিকা পাল
লগ্নজিতাকে গানের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে জিজ্ঞাসা করাতে বলেন তার মধ্যে প্রথম শিল্পীসত্তার প্রতি ভালবাসা সঞ্চার করাতে যিনি সাহায্য করেছিলেন তিনি ছিলেন মান্না দে এবং যেই গান তাঁর মধ্যে আগ্রহের সঞ্চার করেছিল তা হল “পথে এবার নামো সাথী”। আবার সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে লগ্নজিতা বলে ওঠে, “আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একটা জিনিস খুব হয় যেটা নিয়ে আমরা কথা বলি না। আমাদের থেকে প্রিভিলেজ পজিশনের নিচে যাঁরা আমরা খুব মিষ্টি কথায় তাদের টাকা মারি”। মূলত এই জিনিসটাই তিনি করতে চান না, বললেন গায়িকা। তাঁর থেকে নিচু স্তরে যাঁরা রয়েছে তাঁদের টাকা কখনোই মারতে চান না এই বিষয়টাই তিনি নিজের মধ্যে আজীবন বজায় রাখতে চায়।