স্টার জলসা ‘দুই শালিক’ (Dui Salik) ধারাবাহিকে চলছে এখন মোর ঘোরানো পর্ব। আজকের গল্পের শুরুতেই দেখা যাবে, নীলিমা কিছুতেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছিল না গৌরব এইভাবে তাকে বস্তিতে থাকার কথা বলতে পারল। ঝিলিক যে গৌরবকে নিজের কাছে টেনে নিয়েছে তা বুঝতে শুরু করে নীলিমা। এরপর বাড়িতে ফিরে যায় অন্যদিকে সমতা ভাবে সে কোনোভাবেই ছাড়বে না। বাইরের একটা অন্য কোন মেয়ে এসে দেবা কে তার কাছ থেকে কেড়ে নেবে এটা কোনমতেই মানতে পারবে না সমতা।
আর ঠিক এই মুহূর্তে সমতাকে বাইরের একজন এসে টেনে নিয়ে যায় কিন্তু সেটাকে তা এখনো বুঝতে পারেনি। এরমধ্যে, উকিল রজতাভ লাহিড়ী আঁখি এবং অনিমেষ বাবুর সমস্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার প্ল্যান করেছে। রজতাভ উকিল ভাবে একবার যদি আঁখিকে দিয়ে সব সই করিয়ে নেওয়া যায় তাহলে আর কোন সমস্যা থাকবে না। এই কথা ভাবতে ভাবতে আঁখি চলে এসেছে রজতাভ বাবুর কাছে।
এই সময় উকিল মনে মনে বলে, এ তো দেখছি চলেই এসেছে। ওই যে কথায় আছেনা পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে’। এই সময় আঁখি বলে, ‘আমার যা সম্পত্তি আছে তা আপনি আমার নামে করে দিন’। এই কথা শুনে রজতাভু বাবু আঁখিকে দিয়ে একটা কাগজের সই করিয়ে নেয়। সই করার আগে আঁখি পেপারটা ভালো করে পড়ছে দেখে রজত বাবু তাকে বলে, ‘তোমায় আমি সই করতে বললাম আর তুমি পেপারটাকে নিয়ে নাড়াচাড়া করছ’।
এই সময় আখি উকিল বাবুকে বলে ‘আপনি বললেন সই করতে না পড়েই সই করে দেব’। পেপারটা পড়ে আঁখি বোঝে যে, তাঁর এবং পিআর কে-এর মধ্যে সম্পর্কটা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। আঁখি আর ছাতা বাড়িতে নিরাপদ নয়। তাই, তাঁর সব সম্পত্তি উকিল রজতাভ লাহিড়ীর হাতে তুলে দিচ্ছে। এই পড়ে আঁখি রজতাভকে বলে, ‘আপনি নিজের নামে সব সম্পত্তি করার জন্য এই ফন্দিটা করেছেন, তাই না?’
এই শুনে রজতাভু বাবু আঁখির ব্যাপারে ভাবে, সে কীকরে পড়াশোনা শিখল? এই সময় চলে এসেছে ঝিলিক এবং অনিমেষ বাবু। এই সময় উকিলকে অনিমেষ বাবু বলে, ‘আমার সব সম্পত্তি আমার নামে করে দিন। আমার দুই মেয়ে অপেক্ষা করছে। এই সময় উকিল বলে ‘অসম্ভব! আপনি কে? আপনাকে তো আমি চিনি না’। এই শুনে অনিমেষবাবু তাকে বলে, ‘আমি অনিমেষ আপনি আমাকে চিনতে পারছেন না’। এই শুনে উকিল বলে, ‘অনিমেষ! সে তো অনেক কাল আগেই গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গেছে’।
এই সময় অনিমেষ বলে ওঠে ‘এইভাবে হবে না, আমাদের ট্রাস্টি বোর্ডের সাহায্য নিতেই হবে’। অন্যদিকে দেখা যায় নীলিমা পরোটা ভাজতে থাকে, তখনই মনে পড়ে যায় গৌরবের বলা কথাটা। এই সময় পলি বলে ‘দেখেছ তো বৌদি, তোমার ছেলে তোমার হাত থেকে বেরিয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত এখন রয়েছে কিনা ওই বস্তিতে। ভাবলেও কেমন যেন এখন অবাক লাগে যে, ছাতা বাড়ির ছেলে এখন বস্তিতে রাত কাটাচ্ছে’।
এই সময় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে নীলিমা। আর, এই কারণেই আতর ফোন করতে থাকে গৌরবকে। গৌরব ফোনটা ধরা মাত্রই আতর কাকে বলে, ‘তুই এক্ষুনি আয়?’ এই শুনে গৌরব তাড়াতাড়ি বেরোতে গিয়ে একজনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তার সমস্ত জিনিস মাটিতে পড়ে যায়। সেই ব্যক্তি গৌরবের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করে।
আরও পড়ুনঃ “বসন্ত বললেই মাথায় আসে প্রেম…” সাহেবের হাতে রঙিন হলেন সুস্মিতা! এভাবেই কি তবে হলো প্রেমের ইজহার?
বস্তিতে ঝামেলা হওয়ার সময় চলে এসেছে দেবা এবং পল্টু। দেবা এসে গৌরবকে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে? পুরো ঘটনাটা দেবাকে খুলে বলায় সে বলে, ‘মাসি ওর ভুল হয়ে গেছে, তুমি জানো ওর ড্রেসটার দাম কত? তোমার বাড়ির দামের থেকেও বেশি’। দামের কথা শুনেই গৌরব দেবাকে বলে ‘দামের কথা বলছ কেন?’ এই শুনে দেবা বলে দামের কথা বলব নাইবা কেন? যা সত্যি তাই বলেছি। এরপরই নানান কথায় গৌরব এবং দেবার মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়।
অন্যদিকে আবার দেখা যাচ্ছে ট্রাস্টি বোর্ডের মিটিং বসেছে। সেখানে উপস্থিত রয়েছে আঁখি, দেবা,অনিমেষ, ঝিলিক সকলেই। মিটিংয়ে রজতাভ বাবু বলে ‘অনিমেষ অনেক আগেই মারা গেছে। এই লোকটা একটা ঠক, জোচ্চোর। অনিমেষের কোনো অস্তিত্বই আর নেই’। এই সময় আঁখি বলে ওঠে ‘উনি আমার বাবা। আপনি একদম মিথ্যে কথা বলছেন। একটা উকিল হয়ে কি করে আপনি এত বড় মিথ্যে কথা বলতে পারেন?’ এই সময় অনিমেষবাবু বলে, ‘না আমি কোন মিথ্যে কথা বলছি না’। এই সময় দেবা বলে ওঠে, দেখুন উকিলবাবু অনেকক্ষণ ধরে দেখছি আপনি ওদের সম্পত্তিটা দেবেন না বলে ঠিক করেছেন। তা কি আপনি ভোগ করবেন?’ তর্কবিতর্কের পর অবশেষে দেখা গেল ট্রাস্টি বোর্ডের এক মেম্বার বলে উঠল, সমস্ত সম্পত্তি আঁখি এবং অনিমেষ বাবুর নামে করে দেওয়া হল। কিন্তু ঠিক যখনই সইটা করতে যাবে তখনই চলে এসেছে আর একটা আঁখি। এরপর দুই আঁখির মধ্যে ঝামেলা লাগলে ট্রাস্টি বোর্ড কাউকে সই করতে দেয় না। এই সময় ঝিলিক মনে মনে ভাবে, কে আসল আঁখি? তা খুঁজে বার করতে হবে।