বড়লোকি অ্যাভোকাডো, কিনুয়া নয়, চাইলে ভাত, ডাল, মাছ খেয়েও সুস্থ থাকা যায়! নব প্রজন্মের ফিটনেস গ্রিকদের আয়না দেখালেন টোটা

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরী (Tota Roy Chowdhury) যিনি তাঁর অভিনয় প্রতিভা এবং শারীরিক ফিটনেসের জন্য পরিচিত, সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তিনি আজও একেবারে মধ্যবিত্ত বাঙালি মানসিকতায় জীবনযাপন করেন। টোটা জানান, বিদেশি খাদ্য এবং বিলাসিতার প্রতি তাঁর কোনো ঝোঁক নেই। বরং নিজের দেশের সাধারণ খাবারে তিনি সুস্থ এবং ফিট থাকতে বিশ্বাসী। তাঁর মতে, বিদেশ থেকে বিশেষ কিছু খাবার আনতে হবে এমন কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ ভারতীয় খাবারেই রয়েছে সব প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর উপাদান।

টোটা জানিয়েছেন যে, তাঁর খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত সাধারণ এবং স্বাস্থ্যকর। তিনি প্রতিদিন দুই বেলা ভাত খান এবং সাধারণত ৮০ শতাংশ সময় ভারতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন। তার পছন্দের মধ্যে রয়েছে ডাল, ভাত, সবজি, মাছ, দই—যেগুলি তিনি একেবারে বাড়ির তৈরি খাবারের মতো উপভোগ করেন। টোটা বলেন, “আমার কাছে বিদেশি খাবারের কোনো প্রয়োজন নেই। ভারতীয় খাবারেই পুরো শরীরের পুষ্টি পাওয়া যায়। আমি মনে করি, আমাদের দেশি খাবারই আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো।”

tota roychowdhury

টোটার এই জীবনযাপন মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের প্রতিচ্ছবি। তিনি জানিয়েছেন যে, বড়লোকি বা বিলাসী জীবন তাঁর কাছে কোনো মূল্যবান কিছু নয়। টোটা জানান, তিনি বরং সাদামাটা জীবন পছন্দ করেন, যেখানে বেশি খাবার, বেশি খরচ বা বেশি ফ্যাশন নয়, বরং পরিমিত জীবনযাপন এবং সুস্থ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “দু’বেলা ভাত, ডাল-সবজি, মাছ—এগুলোই আমাদের প্রাকৃতিক এবং সুস্থ জীবনযাত্রার অংশ।”

তবে টোটা পুরোপুরি সাধারণ খাবারের উপর নির্ভরশীল থাকলেও, বিশেষ বিশেষ দিন বা উপলক্ষে তিনি কখনও কখনও একটু বিলাসিতা উপভোগ করেন। তিনি জানান, “২০ শতাংশ সময় আমি লুচি, কষা মাংস, রসের মিষ্টি খেতে পছন্দ করি। কিন্তু সেটা খুবই বিরল, এবং কেবল বিশেষ দিনগুলিতেই।” এই বিশেষ খাবারগুলো তিনি খান যখন তাঁর শরীর আরও একটুখানি শক্তি চায় বা মন চায় একটু স্বাদ বদল।

আরও পড়ুনঃ একেই বলে স্ত্রীর পাশে থাকা! শুভর পাশে দাঁড়িয়ে বড় সিদ্ধান্ত আদৃতের, এবার কি দূরত্ব বাড়বে মা ও ছেলের?

টোটার এই জীবনযাপন একটি প্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, বিলাসিতা ছাড়া, সাদামাটা জীবন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসে যে কেউ সুস্থ এবং ফিট থাকতে পারে। তাঁর এই ভাবনা কেবল শারীরিক ফিটনেসের জন্যই নয়, বরং একটি সুস্থ মানসিকতার জন্যও জরুরি। টোটার মতে, “আমাদের সমাজের ছোট ছোট পদক্ষেপই আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতার দিকে নিয়ে যায়।”

You cannot copy content of this page