টলিপাড়ার বহুল চর্চিত কাপলদের তালিকায় তাঁদের নাম না নিলেই নয়, তাঁর হলেন ‘নীল ভট্টাচার্য’ (Neel Bhattacharya) আর ‘তৃণা সাহা’ (Trina Saha)। একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব, প্রেম, তারপর বিয়ে, সবই হয়েছে খোলাখুলি। তবে এখন এই জনপ্রিয় দম্পতির জীবনে এবার এসেছে চরম দূরত্ব! পেশাগত কারণে মুম্বইয়ে গিয়ে নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন নীল, অন্যদিকে তৃণা রয়েছেন কলকাতায়, ব্যস্ত নিজের ধারাবাহিক ‘পরশুরাম’ (Parashuram – Ajker Nayok) -এর কাজে।
এই দূরত্ব যেমন বাস্তব, তেমনই আবেগঘন— কারণ প্রতিদিন একসঙ্গে থাকার অভ্যাসটাই বদলে যাচ্ছে এখন। স্টার জলসার ‘পরশুরাম’ ধারাবাহিক ইতিমধ্যেই টিআরপির দৌড়ে দারুণ ফল করছে। ফলে তৃণার ছুটি নেওয়ার সুযোগ খুবই সীমিত। অন্যদিকে নীল নিজেকে বড় পর্দার মতন গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাড়ি দিয়েছেন মুম্বইয়ে। সেখানেই তিনি এখন নিয়মিত জিম করছেন, হিন্দি ভাষা রপ্ত করছেন, এমনকি নাচের প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন, যাতে নতুন নতুন চরিত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন।
এই বদল যেন এক ধরনের নতুন চ্যালেঞ্জ, যা তাঁরা দু’জনেই সাদরে গ্রহণ করেছেন। পেশার জন্য এই সিদ্ধান্ত দু’জনকেই আলাদা রেখেছে, ফলে তৈরি হয়েছে এক প্রকার ‘লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ’ পরিস্থিতি। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পরেও এই রকম দূরত্ব অনেক সময়েই নানা জল্পনা উসকে দেয়। টলিপাড়ায়ও ফিসফাস চলেছিল, তবে সেই জল্পনার জবাব দু’জনেই দিয়েছেন তাঁদের ভালোবাসার ছবি ও প্রকাশ্যে একসঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্ত দিয়ে। শহর ছাড়ার আগে কাছের বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে নাচে-গানে মেতে উঠেছিলেন নীল-তৃণা।
সেই সব ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরালও হয়। আর তাতে অনুরাগীরাও বুঝে যান যে সম্পর্ক ঠিকঠাকই আছে, শুধু ঠিকানার তফাৎ। তৃণা নিজেই স্বীকার করেছেন, এই সময়টা কিছুটা কষ্টের হলেও তাঁরা পরিণত মানুষ, এবং একে অপরকে বোঝেন খুব ভালোভাবে। নিজের মনের কথা জানিয়ে তৃণা বলেন, “কখনও কখনও জীবনে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যা তখন খারাপ লাগলেও ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয়।” একসঙ্গে থেকেও নিজের নিজের কেরিয়ারে উন্নতি করাই তাঁদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই আপাতত আলাদা শহরে থাকলেও,
আরও পড়ুনঃ ঝড়ের মুখোমুখি আদি-শুভ! আয়ানের সন্তানের মা হতে চলেছে মোহনা! অন্যদিকে সন্তানসম্ভবা শুভও! এবার কী শুভকে ভুলে আদি ধরবে মোহনার হাত? নতুন বিপদ কোন দিকে মোড় নেবে শুভ-আদির জীবন?
সম্পর্কের বন্ধন অটুট রাখার প্রয়াস রয়েছে প্রতিদিন। তবে ব্যক্তিগত জীবনের গুঞ্জন থেমে নেই। টলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যায় তাঁদের সম্পর্ক নাকি আর আগের মতো নেই! এই পরিস্থিতির মধ্যেই এসেছে তৃণার এক ব্যক্তিগত মতামত, ‘ইন্টিমেট সিন’ বা সাহসী দৃশ্য নিয়ে তৃণা বরাবরই স্পষ্ট। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, নীল বাংলায় কাজ করুক বা হিন্দিতে, তাঁর কোনও আপত্তি নেই। শুধু পর্দায় তিনি শয্যা দৃশ্য বা অতি সাহসী দৃশ্য করবেন না, একই নিয়ম নীলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁদের সম্পর্কের ভিত দাঁড়িয়ে আছে সাম্যের উপর। যা তিনি করবেন না, নীলের ক্ষেত্রেও তার অনুমতি নেই।