টলিউডের প্রানবন্ত অভিনেতা আজ মৃ’ত্যুর দোরগোড়ায়! চিকিৎসায় প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ! সহ-অভিনেতাদের কাছে কা’ন্নাভেজা আর্জি মেয়ের! জীবনের মঞ্চে শে’ষ দৃশ্য কি এতটাই নির্মম?

রূপোলি দুনিয়ার ঝলকানি দেখে অনেকেই ভাবেন, পর্দার মানুষকে আর্থিক টানাটানি ছুঁয়ে যায় না। অথচ টলিউডের (Tollywood) নব্বই দশকের সদা প্রাণবন্ত এবং হাসিমুখের সেই অভিনেতা (90’s Famous Actor) আজ জীবন-মৃত্যুর (Critical Condition) সীমানায় দাঁড়িয়ে। ডাক্তারের কড়া নির্দেশ—দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন না হলে পরিস্থিতি সামলানো যাবে না, আর খরচের অঙ্ক কম করে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। পরিবার ইতিমধ্যেই সঞ্চয় ভেঙেছে, তবু পাহাড়প্রমাণ ব্যয় সামলাতে হিমশিম।

অভিনেতার মেয়ে চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে টেনে নিয়েছেন। বাবার শারীরিক অবস্থা এতটাই সংকটজনক যে এখন আইসিইউ-তে দিন কাটছে। চিকিৎসার টাকা জোগাড়ের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় সমস্যা—উপযুক্ত কিডনি-দাতা মেলা। বাড়ির কারও শারীরিক অবস্থা উপযুক্ত না, আর স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসছেন না কেউই। অথচ সময় চলে যাচ্ছে, বাবার অবস্থা আরও সংকটজনক হচ্ছে।

এর মধ্যে এক শীর্ষ নায়কের দলে থেকে আশার আলো জ্বলে উঠেছে। ফোনে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচারের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলেই সাহায্যের মোটা অঙ্ক পৌঁছে যাবে হাসপাতালের হিসাবনামায়। তবু বাকি টাকার বন্দোবস্ত নয়, কিডনি দাতার সন্ধান—দুটোই এখন সমান দুশ্চিন্তা। পরিবারের তরফে তাই সমাজ মাধ্যমে থেকে সাংবাদ মাধ্যমের সবাইকে বলছেন মেয়ে, “আমরা একা লড়ে পারব না, আপনারা এগিয়ে আসুন।” তাঁর আর্জি সরাসরি বাবার পুরোনো সহ-শিল্পীদের দিকেও।

নব্বই দশকের দাপুটে নায়ক থেকে নতুন প্রজন্মের ‘স্টাইল আইকন’—যাঁরা একের পর এক হিট ছবি ভাগ করে নিয়েছেন, সেইসব সহকর্মীর কাছে হাত জোড় করে বলছেন, “আপনারা বাবার সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছেন, আজ একটু কিডনি-যুদ্ধেও পাশে দাঁড়ান।” এখনও পর্যন্ত কেউ খোঁজ না নেওয়ায় আক্ষেপের সুর, তবু আশা ছাড়ছেন না তিনি। এত আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু যাঁর জন্য—তিনি তেলুগু টলিউডের অভিজ্ঞ অভিনেতা ফিশ ভেংকট, তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন প্রভাস।

আরও পড়ুনঃ এক ছাদের নিচে না থাকলেও কমলিনী-নতুন হরিহর আত্মা! ডলকে বিয়ে করবে না, শেষ কথা নতুনের! প্লুটো-মিঠির পুরনো প্রেম তুলে খোঁচা অনন্যার, বিয়ের পাকা কথার মাঝেই বি’স্ফো’রণ কমলিনীর বাপের বাড়িতে!

তেলেঙ্গানা উপভাষার স্বতঃস্ফূর্ত দখল থেকে এসেছিল ‘ফিশ’ উপাধি, আর সেই টক ঝাল হাসিতে মেতেছিল দক্ষিণী রুপোলি পর্দা। ‘বান্নি’, ‘অধুর্স’, ‘ধি’, ‘মিরাপাকায়’ থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া থ্রিলার ‘কফি উইথ এ কিলার’—হিটের তালিকায় তাঁর নাম বারবার। আজ সেই প্রিয় কমেডি-খলনায়ক জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত, তাই দক্ষিণী ফিল্ম দুনিয়ার সহকর্মী আর দর্শকের কাছে শেষ অনুরোধ—আরও একবার হাত বাড়িয়ে প্রাণ বাঁচান পর্দার এই সদাহাস্য মানুষটিকে।

Coffee With Killer