‘সতী সাবিত্রীর অন্য নায়কদের সঙ্গে ঘ’নিষ্ঠ দৃশ্যে অসুবিধা হয়নি, জিতুর নাম শুনলেই সমস্যা!’ ‘উনি চান প্রশংসা শুধু উনিই পাবেন জিতুকে নিয়ে দর্শকের মাতামাতি হতেই গাত্রদাহ হয়েছে!’‌ দর্শকদের তীব্র কটা’ক্ষে জেরবার দিতিপ্রিয়া

বিনোদন জগতে পর্দার জন্য যতই নিত্য নতুন গল্পই লেখা হোক, ক্যামেরার আড়ালের বাস্তব ছবি কখনও কখনও সেই গল্পের থেকেও বেশি আলোড়ন তোলে। জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর (Chirodini Tumi Je Amar) ক্ষেত্রেও সেটাই হচ্ছে! ধারাবাহিকে আর্য-অপর্ণার প্রেমে দর্শক ডুবে থাকলেও, জিতু কমলের (Jeetu Kamal) সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা শুনে অনেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন। অসুস্থতা কাটিয়ে ধারাবাহিকে ফিরতেই, তিনি এমন কিছু পরিস্থিতিতে পড়ছেন যা তাকে মানসিকভাবে ক্লান্ত করে তুলেছে।

সমাজ মাধ্যমে তাঁর পোস্টে স্পষ্ট ছিল যে, সহ্যসীমা শেষ হওয়ার কথা তিনি আর চাপাতে চান না। এই পুরো বিতর্কে সবচেয়ে বেশি আলোচ্য নাম দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)। কিছুদিন আগেই তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন যে জিতু নাকি তাকে নিয়ে অনভিপ্রেত মন্তব্য করেছেন। পরে সেই অভিযোগের ভুল ব্যাখ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর তিনি ক্ষমা চাইলেও, ভেতরকার অস্বস্তিটা আর পুরোপুরি মুছে যায়নি। এখন নতুন অভিযোগ, দিতিপ্রিয়া নাকি জিতুর সঙ্গে একই ফ্রেমেও দাঁড়াতে চান না, রোমান্টিক দৃশ্য তো আরও দূরে।

প্রোডাকশন নাকি সমস্যা মেটাতে না পেরে আলাদা আলাদা শট নিয়ে কাজ সারছে। তবে, এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকরা। অনেকেই দিতিপ্রিয়ার অতীতের কিছু ছবির দৃশ্য এবং ফটো ভিডিও সমাজ মাধ্যমে তুলে ধরে বলছেন, “যেখানে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে সাবলীল অভিনয় করতে কোনোদিন তাঁকে দ্বিধায় পড়তে দেখা যায়নি, সেখানে হঠাৎ জিতুকে এড়িয়ে যাওয়ার মানে কী?” দর্শকদের দাবি, বিষয়টা আর পেশাদার সীমায় নেই, বরং নায়কের জনপ্রিয়তাই নাকি অভিনেত্রীর জন্য ‘অসুবিধা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে!

তাদের কথায়, জিতুর অভিনয় ধারাবাহিক শুরু থেকে দারুণ প্রশংসা পাচ্ছে। বিপরীতে অপর্নার চরিত্র তেমন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি বলেই নাকি অভিনেত্রী অস্বস্তিতে। এই অভিযোগ আরও তীব্র হয়েছে যখন দর্শকদের চোখে পড়েছে সেই পুরোনো কাজের ছবিগুলি। সমাজ মাধ্যমে কেউ লিখছেন, “দেখুন, সতী সাবিত্রী মেয়ের এত ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে কোনও সমস্যা নেই, কিন্তু জিতুর সঙ্গে দাঁড়ানোই নাকি অসম্ভব!” কেউ আবার কটাক্ষ করে বলেছেন, “যে জায়গায় দর্শক জিতুকে নায়ক হিসেবে বেশি পছন্দ করছে, সেখানেই সমস্যাটা শুরু।”

আরও পড়ুনঃ “আমার জন্মটাই ফাউ! আমার এই পৃথিবীতে আসার কথাই ছিল না!” বিস্ময়কর স্বীকারোক্তি শঙ্কর চক্রবর্তীর! কোন অজানা যন্ত্রণায় এমন মন্তব্য করলেন অভিনেতা?

একটা বড় অংশের মতে, ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা ক্রমে জিতুর দিকেই বেশি ঝুঁকে গেছে আর সেটাই নাকি প্রতিনিয়ত অশান্তির মূল কারণ। এই সমস্ত সমালোচনা, রাগ-দুঃখের মধ্যেও দিতিপ্রিয়া নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন যে শুটিং যথারীতি চলছে আর বাকিটা শুধুই রটনা! কিন্তু বাস্তবতার পুরোটা যে এখনও স্পষ্ট নয়, তা বোঝাই যাচ্ছে। কে ঠিক, কে ভুল সেটা সময়ই বলবে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, এই বিতর্কে দর্শকদের আবেগ এতটাই তীব্র হয়েছে যে তারা এখন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত আচরণও খুঁটিয়ে দেখতে বাধ্য হচ্ছেন।