সদ্য মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী (Sudipta Chakraborty) অভিনীত তেতো (Tento)। মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি এই সিনেমা। মিষ্টি মানুষের তেতো হয়ে ওঠার গল্প ইতিমধ্যেই চর্চিত দর্শকমহলে। ছবি মুক্তির পর এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ্য অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। মানুষের তেতো হয়ে ওঠা নিয়ে কী বলছেন অভিনেত্রী?
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকরে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয় সৌজন্যবোধ কী সবাই ভুলে গেছে? উত্তরে সুদীপ্তা বলেন, “হ্যাঁ। তার জন্য আমরাই খানিকটা দায়ী। আজকালের ছেলেমেয়েরা একটু অন্য ধরনের। ওদের একটা কথা বললে ভেবেচিন্তে বলতে হয়। কারণ তারা ফিরতি উত্তর দিতে জানে। আমরা যখন ছোট ছিলাম আমরা কিন্তু এটা করতাম না। এখন আমার কাজের ক্ষেত্রেই দেখি ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আমাদের টেকনিশিয়ান দাদাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। আমি কারণটা বুঝতে পারিনা। আমরা যে পথে এগোচ্ছি আরও আমাদের সৌজন্য হারিয়ে যাবে। একদিন হয়ত শব্দটাই হারিয়ে যাবে।”
তেতো জীবনের গল্প… মানুষের জীবনের তিতিয়ে যাওয়ার পিছনে আসল কারণ খোলসা করলেন সুদীপ্তা
জীবনে মানসিক ভাবে শক্ত হওয়া দরকার? অভিনেত্রীর মতে, “একদম। জীবনে অনেক মানুষ আসবে, যাবে। কেউ তোমায় নিচে টেনে নামাতে চাইবে। কিন্তু তোমায় প্রমাণ করতে হবে না তুমি কাজটা পারবে।”
নিজের মধ্যে আত্মসম্মানবোধ থাকা উচিত? এ প্রসঙ্গে সুদীপ্তা বলেন, “অবশ্যই নিজের মধ্যে আত্মসম্মানবোধ থাকা উচিত। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে সকলে বলে মেয়েরা অনেক সহজেই কাজ পেতে পারে। সেই সূত্র ধরে নিজের আত্মসম্মান বিকিয়ে অনেক মেয়ে কাজ পাচ্ছেও। তবে সকলে নয়। তা বলে আমি এটাও বলছি না মেয়েদের সম্মান শাড়ির আঁচলে থাকে। সম্মান জিনিসটা ব্যক্তিগত। সম্মান নষ্ট করা যায় না। তুমি নিজের সম্মান নিজে নষ্ট করতে পারো। অন্য কেউ করতে পারবে না। আমি এভাবে ভাবি।”
“কঠিন জিনিস ভাঙা শক্ত…” অকপট অভিনেত্রী
অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, শক্ত মনের মানুষকে কেউ ঠকাতে পারে? অভিনেত্রী বলেন,”শক্ত মনের মানুষকে কেউ ঠকাতে পারে না। তারা নিজেকে এমন ভাবে নিজের চারপাশে ব্যারিকেট দিয়ে রাখে তৈরি করে যে নকল জিনিস ঢোকার মতো জায়গা তারা ছাড়ে না। এতটাই শক্ত হয়ে থাকে। যত শক্ত হবে, তত কঠিন হবে। আর কঠিন জিনিস ভাঙা শক্ত।”
“আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!