“সোহমের এই আচরণ পারিবারিক শিক্ষা এবং ব্যক্তিগত রুচির বহিঃপ্রকাশ!” নেতা সোহমকে ধুয়ে দিলেন মানসী সিনহা

রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল তারকা বিধায়ক তথা জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। তবে শুধু বিরোধীরাই নয়, অভিনেতার এই কর্মকান্ডকে সমর্থন করেননি টলিপাড়ার একাধিক তারকারা। এমনকি অভিনেতার পাশে দাঁড়াননি তার দলের অনেকেই। অভিনেতা সোহমের ঘনিষ্ট বন্ধু দেবও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তার দিক থেকে। অভিনেতা স্পষ্ট জানিয়েছেন সোহমের ক্ষমা চাওয়া উচিত। অভিনেতা কৌশিক সেনও সোহমকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন শেখ শাহাজাহানকে অনুসরণ না করে তার দেবকে অনুসরণ করা উচিত।

কি ঘটেছিল নিউটনের সেই রেস্তোরাঁয়?

শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউটাউনের একটি রেস্তোরাঁয় তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। সেই রেস্তোরাঁর মালিকেই মারধর করার অভিযোগ ওঠে সোহমের বিরুদ্ধে। যদিও এই ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী দাবি করেছেন রেস্তোরাঁর মালিক এবং কর্মচারী তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। শুরু তাই নয়, রাজ্যের শাসক দলের অন্যতম প্রধান মুখ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নামেও কুমন্তব্য করেছেন ওই রেস্তোরাঁর মালিক। তখনই নাকি রেস্তোরাঁর মালিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অভিনেতার। তারপরই শুরু হয় হাতাহাতি।

সোহম চক্রবর্তীর ব্যবহার নিয়ে কি বললেন মানসী সিনহা?

সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল অভিনেত্রী মানসী সিনহার কাছে। অভিনেত্রী জানান “মানুষের রাগ হয়, মাঝে মধ্যে মনে হয় সব ভেঙে ফেলি সেটা হয়। এবং আমাদের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো আমাদের নৈতিক অধিকার। কি হয়েছে আমি জানি না। কে ঠিক কী ভুল আমি জানি না। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক বহিঃপ্রকাশটা যদি শারীরিক নিগ্রহ হয় সেটা ঘরের বাইরে হোক বা ভিতরে আমি সমর্থন করি না।” নিজের কথার সঙ্গে যোগ করেই অভিনেত্রী এও বলেন “আমি বিশ্বাস করি রাগের বহিঃপ্রকাশ হয় যদি এইটা হয় তাহলে যে ঘটাচ্ছে তার নিজস্ব রুচি, তার পারিবারিক শিক্ষার পরিচয়।”

রাজনীতিতে বিধায়ক হওয়া মানেই কি সাধারণ মানুষকে মারার লাইসেন্স পেয়ে যাওয়া? কি বললেন মানসী সিনহা

এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী মানসী সিনহা বলেন “একেবারেই নয়। লাইসেন্সটা ওকে কেউ দিয়েছে কিনা আমি জানি না। বা বিধায়ক হওয়ার আগে ও এসব করেছি কিনা আমি জানি না। আমি ওকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। দেখা হলে কেমন আছিস ভাই ও বলল কেমন আছো দিদি ব্যস ওইটুকুই। তবে যদি এই কাজটা সোহম বিধায়ক হওয়ার পর করে তাহলে যিনি বা যারা, যে কর্মকান্ড বা পরিস্থিতি, কোন ব্যক্তি তাকেই এই কাজ করতে ইন্ধন জোগায় বা লাইসেন্স দেয় তাহলে সোহম একটা দোষী নয়, তারাও দোষী।”

আরও পড়ুন: গলে গেল অভিমান, স্রোতের বুদ্ধিতেই শেষ পর্যন্ত রাইয়ের কাছে ক্ষমা চাইল অনির্বাণ, মিঠিঝোরায় ধামাকা

দেবের প্রসঙ্গ টেনে এনে সোহমের বিষয়ে কি বললেন মানসী সিনহা

অভিনেত্রীর কথায়, সেই রেস্তোরাঁর মালিক অভিষেক ব্যানার্জীর বিষয়ে কি খারাপ কথা বলেছেন তিনি জানেন না। সেই খারাপ কথাটা কি আদৌ এতটা খারাপ যে মারার পর্যায় যেতে হবে সেটাও তিনি জানি না। তবে কারুর গায়ে হাত তোলা একেবারেই সমর্থন করতে পারছেন না তিনি। এমনকি দেবের প্রসঙ্গে টেনে এনে অভিনেত্রী বলেছেন “দেবের সামনেও একজন বলেছিল জু শ্রী রাম, দেব তাকে জড়িয়ে বলেছিল রাম সবার। এটাই পার্থক্য। একই দলের দুজনে মানুষ কিন্ত পার্থক্য ব্যক্তিত্বে।”