সাদা কালোর জমানা শেষ হচ্ছে এবং সদ্য রঙিন হয়ে উঠছে সিনেমার জগৎ। তখন একজন পুরোনো শিক্ষার সঙ্গে নতুন প্রজন্মের বাহক হয়ে উঠেছিলেন। তাঁকে দেখা গিয়েছে বাংলার একের পর এক তাবড় তাবড় সিনেমায় হিরোর রোলে। পর পর নায়কের রোল করা অভিনেতা আজ ধারাবাহিকের পার্শ্ব চরিত্রে বিরাজমান। কথা হচ্ছে অভিনেতা ভাস্কর বন্দোপাধ্যায় (Bhaskar Banerjee) সম্পর্কে।
এখনও অভিনয় জগৎ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যাননি বটে। কিন্তু যে মহিমায় ও যে বিশাল আকারে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন সেটা বজায় রাখতে পারেননি। কিন্তু কেনই বা এমনটা হল? অভিনয় ও নিজের সুপুরুষ চেহারার দ্বারা তখন রীতিমতো একটা ক্রেজ ছিল ভাস্কর বন্দোপাধ্যায়ের।
একের পর এক হিট সিনেমা তাঁর ঝুলিতে। অভিনয় জীবনের সবথেকে বড় ব্রেক পান ১৯৯২ সালে। “শ্বেত পাথরের থালা” সিনেমা যেটি প্রভাত রায়ের পরিচালনায় তৈরি করা হয়েছিল, সেই ছবিতে অভিনয় করে। টলিউডের অন্যতম বড় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর প্রথম ছবি ছিল এটি। কিন্তু ভাস্কর ব্যানার্জির অন স্ক্রিন কেমিস্ট্রি ভালো ছিল অভিনেত্রী অনুশ্রী দাসের সঙ্গে। এই জুটি অনেক বেশি জনপ্রিয় ছিল।
তবে বেশি কাজও একসঙ্গে করেননি তাঁরা। এছাড়াও ভাস্কর ব্যানার্জির ঝুলিতে বৌরানী, ভালোবাসার আশ্রয়ের মতো একাধিক সিনেমা দেখা যায়। টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক মন্টু ব্যানার্জির ছেলে হওয়ায় ছোট থেকেই টলি পাড়ার সঙ্গে বেশ যোগাযোগ ও যাতায়াত ছিল।
কিন্তু সব কিছুর ঊর্ধ্বেই যে নিজেকে টিকিয়ে থাকার লড়াইটাই আসল, এটার আরও এক বড় উদাহরণ হলেন অভিনেতা ভাস্কর ব্যানার্জি। একের পর এক বড় সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় রোল করে গিয়েছেন, সুপার হিট হয়েছেন, কিন্তু কোথাও গিয়ে একটা সময় খামতি থেকে যায়। তাহলে সত্যিই কি নেপোটিজম সব? হয়তো না! এই মুহূর্তে তাঁকে বেশ কিছু ধারাবাহিকে দেখা যায়। এই মুহূর্তে এক্কা দোক্কায ধারাবাহিকে নায়কের বাবার চরিত্রে ও বালিঝড় ধারাবাহিকে নায়িকার কাকার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে।