আজকাল বাংলা ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে একের পর এক জোয়ার যে এসে চলেছে তাতে লাভ হয়েছে দুটো। প্রথমত গল্পের মধ্যে বৈচিত্র এসেছে। দ্বিতীয়ত, বাংলা টেলিভিশন পেয়েছে প্রচুর নতুন তারকাদের। দুই ক্ষেত্রে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় দক্ষতা প্রশ্নাতীত। নতুন নতুন গল্পের মধ্যে দিয়ে দর্শক প্রচুর মুখ যেমন খুঁজে পেয়েছে তেমনি বাংলা টেলিভিশন জগতে উত্তরণ ঘটেছে।
এমন অনেক নায়ক-নায়িকাকেই দর্শকরা পেয়েছে যারা কোনদিন মুখ্য চরিত্র অভিনয় করেনি তবু দর্শকদের কাছে প্রিয় পাত্র বা পাত্রী হয়ে থেকে গেছে। এর এক এবং একমাত্র কারণ হলো তাদের অভিনয় দক্ষতা। এমনই এক দক্ষ অভিনেত্রী হিসেবে তকমা দেওয়া হয় সাহানা সেনকে।
সাহানা এ যাবত প্রচুর ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তবে সব ক্ষেত্রেই নায়িকাকে দেখা গেছে পার্শ্ব চরিত্রে। এখন যেখানে দুর্দান্ত প্রতিযোগিতার সময় প্রত্যেকেই একে অপরকে একজন জায়গা দিতে রাজি নয় এবং প্রত্যেকেই লাইম লাইটে থাকতে জান-প্রাণ দিয়ে লড়াই করে যায় সেখানে এই নায়িকা প্রতিযোগিতা থেকে বরাবর অনেকটাই দূরে ছিলেন। তবু মানুষের চোখের আড়ালে চলে যাননি তিনি। এমন কী প্রযোজক বা পরিচালকরাও ভুলে যায়নি নায়িকাকে।
সাহানা অভিনেত্রী হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেছিলেন ২০০৭-২০০৮ সালে। সিরিয়ালের সংখ্যা কম নয়। প্রতিদান, নেতাজি, মহারাজ শ্রী কৃষ্ণ, কন্যা, কোজাগরী, খনা, ধুলোকণা, গোধূলি আলাপ- নানা ধারাবাহিকে নানা চরিত্রে সাহানার অভিনয় বরাবর নজর কেড়েছে দর্শকদের।
আজকালকার যুগে বর্ণবৈষম্য নিয়ে যেখানে বহু মানুষ আওয়াজ তোলে সেখানে এই অভিনেত্রী নীরবে থেকেও বুঝিয়ে দিয়েছেন গায়ের রং দিয়ে কিছু হয় না আসল হলো অভিনয়।
তবে কেন ১৫ বছরের মধ্যে একবারও নায়িকা হওয়ার সুযোগ পেলেন না সাহানা সেই প্রশ্ন উঠেছে বারবার। কারণ শ্যামলাবর্ণ শ্রুতি দাসকে বরাবর মুখ্য চরিত্রেই অভিনয় করতে দেখা গেছে। সেখানে এত প্রতিযোগিতার বাজারেও সাহানার কাছে কি কখনই আসেনি নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব? সেটা আমরা জানি না কিন্তু বর্তমানে গোধূলি আলাপে নোলকের ননদ এবং ধুলোকণায় ডলি চরিত্রে ফাটিয়ে অভিনয় করছেন সাহানা সেন।