বাংলা টেলিভিশন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক নায়িকা তুলিকা বসু। ১৯৯৬ সালে এই বাঙালি অভিনেত্রী ডেবিউ করেন ‘এ বার জমবে মজা’ সিরিয়ালে। একজন আটপৌরে গৃহবধূ ছিলেন তুলিকা। সেখান থেকে হঠাৎ করে রঙিন জগতের নায়িকা হয়ে উঠলেন তিনি।
একটা সময় স্কুলে পড়াতেন তুলিকা। তাঁর মেসোমশাই প্রিতম মুখোপাধ্যায় ছিলেন স্ক্রিপ্ট রাইটার, পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেখান থেকেই মাঝে মাঝে তুলিকা বসুকে মেসোমশাই নিয়ে যেতেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর সিনেমা দেখাতে। পরে সেই মেসোমশাই তুলিকাকে ‘এ বার জমবে মজা’র সুযোগটা করে দেন।’
এই সিরিয়ালের বেশ কিছু দিন পরে তিনি দেবাংশু সেনগুপ্তর কাছ থেকে অফার পান ‘মহাপ্রভু’র জন্য। তবে তখন অভিনেত্রীর ছেলে ছিল অনেক ছোট। তবে তুলিকার মনে চিন্তা থাকলেও শ্বশুরবাড়ি এবং স্বামী সকলে মিলে সামলে দিয়েছিলেন। ‘কে আপন কে পর’ থেকে শুরু করে ‘অন্তরসত্তা’, ‘বাবলি’, ‘রংরুট’, ‘আদর’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি বহু ধারাবাহিকে করেছেন মা এবং কাকিমার চরিত্র।
এই একই রকম প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে সিনেমার ক্ষেত্রে। ২০০৯ সালে চ্যালেঞ্জ সিনেমায় শুভশ্রীর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। তখন যেমন সেজেছিলেন চরিত্রের জন্য ঠিক একই রকম সাজ দেখা গেল ২০২১ সালে গোলন্দাজ সিনেমায় দেবের মায়ের চরিত্রে।বরাবর অভিনেত্রীকে দেখা গেছে একই ধরনের চরিত্র করতে। খুব কম ক্ষেত্রে তিনি অন্যরকম চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বাংলা সিরিয়াল হোক কিংবা সিনেমা বেশিরভাগ সময়েই মায়ের চরিত্রে কিম্বা শাশুড়ি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে থাকলেও মনের দিক থেকে এখনো বেশ শিশুসুলভ তুলিকা বসু। নিজের সহ অভিনেতাদেরও সারাক্ষন আগলে রাখতে চান তুলিকা। তবে মা বা শাশুড়ির চরিত্র করতে করতে তিনি বিন্দুমাত্র হাঁপিয়ে যাননি। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি কি তাঁকে যোগ্য দাম দিলো না?