নীল-তৃনা – একসময় টলিপাড়ার মোস্ট পারফেক্ট জুটি ছিলেন এই যুগল। ভক্তরা ভালোবেসে তাঁদের ‘তৃনীল’ বলেই ডাকেন। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়েছিল এই যুগল। জাঁকজমক করে বিয়ে সম্পন্ন হয় এই যুগলের। দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীর আগেই গুঞ্জন উঠছে এই যুগলকে নিয়ে। সপ্তাহখানেক ধরে শোনা যাচ্ছে সবকিছু ঠিক নেই আর তাঁদের মধ্যে। ইতিমধ্যে নাকি আলাদা হয়েছে দুজনের পথ।
এই সন্দেহের বীজ স্পষ্ট হয় তৃণার জন্মদিনের দিন। এতো ভালো দিনে তৃনার পাশে দেখা মেলেনি যাতে নীলের। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে ‘তাহলে দু বছরের মধ্যেই কি ভেঙে যাবে এই সম্পর্ক?’ যদিও এই ব্যাপারে নীল আগেই হেসে উড়িয়ে দেন। আবার দেখা যায়, নীল একাই পাঠান দেখতে গিয়েছিলেন। বেশকিছুদিন ধরে অন্য সতীর্থ বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে রিল ভিডিয়ো বানালেও, পরস্পরের হাত ধরে সোশাল মিডিয়াতেও উঁকি দিচ্ছেন না নীল এবং তৃণা।
এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন তৃণা। সত্যি কি তাঁরা বিচ্ছেদের পথে এগোচ্ছেন? তারই উত্তর দিল তৃনা। যদিও এর আগে এক সাক্ষাৎকারে নীল জানিয়েছিলেন, “সোশ্যালেও আমি ওর জন্মদিনে ছবি পোস্ট করেছি, তবে সেটা আগের ছবি, তাই হয়ত কারোর চোখে পড়েনি। সবসময় সবকিছু তো পাবলিক করা যায় না। আর তৃণার শরীরটাও খুব একটা ভালো ছিল না, ও একটু ডায়েট বেশিই করে তো, তাই লো প্রেশার হয়ে গিয়েছিল।”
এবার তৃণার গলাতেও কিছুটা একইরকম সুর বাজল। তিনিও বলেন, “আজকাল জীবনটা সোশ্যাল মিডিয়া কেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছে। ফেসবুক-ইনস্টাতে হাসিমুখে পোজ দিয়ে ছবি দিলেই বোঝা যাবে সম্পর্ক আছে, নয়তো গণ্ডগোল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরেও যে জীবন আছে একটা মানুষ সেটাই ভুলতে বসেছে। আগে এসব নিয়ে ভাবতাম। এখন আর পাত্তা দেই না। শুধু বলতে চাই আমি আর নীল ভালো আছি।”
বিয়ের বহু বছর আগে থেকেই নীল-তৃনার মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল, তারপর হয় প্রেম। গত দু-মাস ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল অ্যাক্টিভ দুই তারকার একসঙ্গে কোনও পোস্ট নেই। একসঙ্গে ঘনঘন রিল, ফোটো শেয়ার করতেন একসময় তাঁরা, আর তাই তাঁদের একসঙ্গে দেখতে না পেয়ে সকলের মনেই এরূপ সন্দেহ তৈরী হয়।
বর্তমানে নীল এবং তৃণার কেরিয়ার রকেটের গতিতে এগোচ্ছে। বাংলা মিডিয়াম ধারাবাহিকের নায়ক নীল। অন্যদিকে, বালিঝড় সিরিয়ালের মাধ্যমে ছোটপর্দায় কামব্যাক করছেন তৃণা সাহা। ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হবে এই ধারাবাহিকের সম্প্রচার। যদিও সন্দেহের বীজ রোপন হলেও ‘তৃণীল’ ভক্তরা মনে মনে চাইছেন বিচ্ছেদের সবই যেন মিথ্যে প্রমাণিত হয়। পছন্দের এই জুটি যেন সারাজীবন একসঙ্গে থাকেন।