দারুণ খবর! ৩৮ বছর পর ফের ক্যামেরার সামনে যোগিতা বালি! নায়ক চরিত্রে মিঠুন চক্রবর্তী

একটা সময় ছিল, যখন হিন্দি সিনেমার রূপালি পর্দায় মাধুর্য্যের জ্যোতি হয়ে ঝলমল করতেন এক অভিনেত্রী—যোগিতা বালি (Yogeeta Bali)। অথচ, প্রায় চার দশক ধরে তাঁকে আর দেখা যায়নি আলো ঝলমলে সেই দুনিয়ায়। যাঁরা আশির দশকে বড় হয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির অ্যালবামে আজও হয়তো সযত্নে রাখা আছে ‘মেরা করম মেরা ধরম’-এর দৃশ্য। সেই রূপসীকে পর্দায় আবার দেখা যাবে—এটাই তো এক বিরল সুযোগ! আর এই ফেলে আসা মুখের কামব্যাককে ঘিরে এক অন্য রকমের পারিবারিক আবেগও জড়িয়ে রয়েছে।

কিন্তু কেন এত বছর পরে হঠাৎ আবার অভিনয়ে ফিরলেন তিনি? স্রেফ একটি চরিত্রের জন্য নয়, এই সিদ্ধান্তের পিছনে আছে ভালোবাসা, বন্ধন ও একটি পুত্রের ডাকে সাড়া দেওয়ার আবেগ। বলিউডে যেখানে প্রতিদিন নতুন মুখের আনাগোনা, সেখানে পুরনো স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনার এই প্রয়াস এক অন্য ছোঁয়া রাখছে। শুধু কামব্যাক নয়, এটাও যেন এক প্রজন্মান্তরের গল্প—যেখানে এক অভিনেত্রী মা ফিরছেন তাঁর পুত্রের ক্যামেরার সামনে।

পরিচালক হিসেবে যোগিতা বালির এই প্রত্যাবর্তনের মূল কারিগর হলেন তাঁর ছেলে, নমশি চক্রবর্তী। মিঠুন চক্রবর্তীর কনিষ্ঠ পুত্র এই মুহূর্তে ‘টোস্টেড’ নামে একটি স্লাইস-অফ-লাইফ ওয়েব মিনি সিরিজ পরিচালনা করছেন। সেটি মুম্বই শহরের প্রেক্ষাপটে একটি কমেডি ড্রামা। এবং এই সিরিজেই অভিনয় করছেন নমশির বাবা-মা—মিঠুন ও যোগিতা বালি! যোগিতাকে শেষবার বড় চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ১৯৮৭ সালে, এরপর দীর্ঘ ৩৮ বছরের বিরতি। শুটিং শুরু হবে ২০২৫ সালের ৩ নভেম্বর, এখনও মুখ্য অভিনেত্রীর নাম চূড়ান্ত হয়নি।

নমশির কথায়, “মা প্রথমে রাজি হননি। প্রায় ৪০ বছর ক্যামেরার বাইরে থাকার পর স্বাভাবিক ভাবেই দ্বিধা ছিল। তবে আমি যখন গল্পটা শুনিয়েছিলাম, তখন একটু ভাবার পর বললেন—‘তোর জন্য করব একটা ছোট্ট চরিত্র।’ সেটাই আমার কাছে বিশাল পাওয়া।” এই প্রজেক্ট শুধু পেশাগত নয়, বরং আবেগের জায়গা থেকে গড়ে উঠছে—যেখানে একটি পরিবার একসঙ্গে সৃজনশীল কাজে অংশ নিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ অবশেষে পর্দায় একসঙ্গে ধরা দিতে চলেছেন দেব- শুভশ্রী! মুক্তি পেতে চলেছে ধূমকেতু! আশার আলো দেখালেন রানা সরকার

নমশির এই মুহূর্তে হাতে রয়েছে একাধিক বড় প্রজেক্ট। তিনি অভিনয় ও পরিচালনা করছেন ‘ঘোস্ট: আ হন্টিং লভ স্টোরি’ ছবিতে, যেখানে থাকছেন মিঠুন, মিমোহ, দীপিকা সিং, তিগমাংশু ধুলিয়া, জনি লিভার ও প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়। এটি ওটিটি-তে মুক্তি পাবে। আর ‘বিরাট’ ছবিতে ১৯১১ সালের প্রেক্ষাপটে তাঁকে দেখা যাবে বাঘের সঙ্গে। এটি মুক্তি পাবে জানুয়ারি ২০২৬-এ। সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল হতে চলেছে চক্রবর্তী পরিবারের জন্য সিনেম্যাটিকলি স্মরণীয়—যেখানে মা, বাবা ও ছেলে একসঙ্গে তৈরি করছেন এক সোনালি ‘ঘরের গল্প’।