প্রেমিকার মৃ’ত্যুতে জড়িয়েছিল তার নাম? ‘কথা’র নায়ক সাহেবের জীবনের অজানা গল্প
সদ্য শুরু হয়েছে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কথা’ (Katha)। মা-বাবা হারা এক অনাথ মেয়ে ‘কথা’র জীবন নিয়েই এই ধারাবাহিক। এই মুহূর্তে কলেজের প্রথমবর্ষে বোট্যানি অনার্স নিয়ে পড়ছে কথা। কলেজেই তাঁর জীবন নেবে নতুন মোড়। এখানেই শুরু হবে তাঁর ছোটবেলার পরিচিত অগ্নিভ (সাহেব ভট্টাচার্য)। কলেজে পড়ার পাশাপাশি সে একজন শেফও।
‘কথা’র হাত ধরেই ধারাবাহিকের দুনিয়ায় বেশ কয়েক বছর পর প্রত্যাবর্তন করেছেন করেছেন অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য। কিংবদন্তী ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যের ছেলে তিনি। ২০০৮ সালে ‘বন্ধন’ সিরিয়ালের হাত ধরে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। স্টার জলসার ‘তাহার নামটি রঞ্জনা’ তাঁর অভিনয় জীবনের মাইল ফলক। এই সিরিয়ালটি জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল অভিনেতাকে।
সম্প্রতি ওটিটি জগতেও দিয়েছিল হাতেখড়ি। তাঁর অভিনীত ‘শ্বেতকালী’ দর্শক মহলে বেশ সাড়া জাগিয়েছিল। এছাড়াও সাহেব কাজ করেছেন অস্কার, ফেলুদা, ডিটেকটিভ, রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য প্রভৃতি। তবে এতো গেল কর্ম জীবন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটাতে হয়েছে।
২০১৭ সালে হারিয়েছেন দীর্ঘদিনের প্রেমিকা সোনিকা চৌহানকে। যার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল টলিপাড়ার অন্য এক জনপ্রিয় নায়ক বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে। যদিও কোর্টের পক্ষ থেকে কোনও রায় চূড়ান্ত হয়নি। সোনিকা ছিলেন কলকাতার জনপ্রিয় মডেল। বছর চারেক সোনিকার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সাহেব। তাদের বাগদত্তাও সাড়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২০১৭’র মে মাসের রাতে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান সোনিকা।
সেই গাড়িতেই ছিলেন বিক্রম। মডেলের মৃত্যুর জন্য বিক্রমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সাহেব এ প্রসঙ্গে বলেন,”সোনিকার মৃত্যুর পর ছয় বছর কেটে গিয়েছে। কেস এখনও বিচারাধীন। আমাদের দেশের নির্ভয়া কান্ডের বিচার হতে আট বছর সময় লেগেছে। সেখানে এই কেসে ছয় বছর অতিবাহিত হয়েছে।