জি বাংলার জনপ্রিয় রান্নার শো ‘রান্নাঘর’।শুরুর থেকে এখন এই যাত্রাটা নেহাত কম নয়। নানারকমের রান্নার পদের সঙ্গে সঞ্চালিকা রূপে দর্শক দেখতে পায় সুদীপা চ্যাটার্জিকে। দেখতে দেখতে ১৭ টা বছর পার করে ফেলল ‘রান্নাঘর’ সেই সঙ্গে ৫০০০ পর্ব। একটি টেলিভিশন চ্যানেলের রিয়ালিটি শো এর এতগুলো পর্ব পার করা সত্যিই প্রশংসনীয়। ২০০৫ সালে একটি ছোট ঘর থেকে শুরু হয়েছিল এই শোয়ের শুটিং। আর আজ সেখান থেকে এতগুলো বছর পার। ছোট নন এসি ঘর থেকে এখন আধুনিকতায় মোরা রান্নাঘর সবকিছু নিয়েই কথা বললেন এই শোয়ের সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জি।
সম্প্রতি ৫০০০ পর্ব অতিক্রম করা নিয়ে সুদীপা এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে তার শুরুর প্রথম দিনের কথা ভাগ করে নিলেন। সুদীপা বলেন, “আমরা নিজেরাই জানতাম না ৫০০০ হাজার পর্ব ছুঁয়ে ফেলেছি। আমাদের সম্পাদক মনে করালেন।” শুরুর দিন মনে করে আবেগে ভেসে তিনি বলেন,“বাড়ি থেকে বঁটি, মিক্সি, শিলনোড়া নিয়ে প্রথম পর্বের শ্যুটিং করেছিলাম আমরা। কোনও সেলিব্রিটিই আসতে চাইতেন না। কেউই তখন আমাদের গুরুত্ব দিতেন না। তখন যাঁরা আমাদের হেয়ার, মেকআপ, ক্যামেরা করতেন, আজ তাঁরা অনেক উচ্চস্তরে।
কিভাবে এতগুলো দিন পেরিয়ে গেলো এই শো মানুষের এতো ভালোবাসা কি করে! তাই নিয়ে তিনি বলেন“সাধারণ মানুষও যে তারকাদের মতো টেলিভিশনে আসবেন, নিজেদের মনের কথা বলতে পারবেন, আমাদের সেই ভাবনাটাই কাজ করেছিল।”
যে দুবছর তিনি ব্যক্তিগত কারণে শো করতে পারেন নি তখন শোটির সঞ্চালনা করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য “ছেলে হওয়ার জন্য যদিও দু’বছরের জন্য একটা বিরতি হয়েছিল, কিন্তু আমার ধারণা অপাদির হাত ধরে কেউ জিজ্ঞেস করতে পারবেন না, তোমার বর কেমন আছে? কিন্তু আমায় পারবেন। কারণ আমার মধ্যে পাশের বাড়ির মেয়ের গন্ধ পায় সবাই। তারকাদের হাত ধরে যেটা পাবেন না। আমি কাউকে ছোট করতে চাইছি না। এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা। তবে এত বছরে নিজের একটাই জিনিস লক্ষ করলাম, তখনও যেমন বোকা ছিলাম, এখনও তেমনটাই রয়ে গিয়েছি।”
“আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!